১৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ  । ২রা ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ 

ন্যাশনাল হেরাল্ড: রাহুল ও সোনিয়া গান্ধীর বিরুদ্ধে নতুন এফআইআর

প্রতিদিনের ডেস্ক:
ন্যাশনাল হেরাল্ড জালিয়াতি মামলায় ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি রাহুল গান্ধী ও তার মা সোনিয়া গান্ধীর বিরুদ্ধে নতুন এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনে নতুন এ এফআইআর দায়ের করেছে দিল্লি পুলিশের ইকোনমিক অফেন্সেস উইং (ইওডব্লিউ)। মা-ছেলে সঙ্গে এই অভিযোগে আরও চারজনের নাম এসেছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, প্রতারণা ও অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বর্তমানে বিলুপ্ত ন্যাশনাল হেরাল্ড সংবাদপত্রের মূল প্রতিষ্ঠান অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালস লিমিটেড (এজেএল) দখল করার চেষ্টা হয়েছিল।এফআইআরে কংগ্রেসনেতা স্যাম পিত্রোদা, সাংবাদিক সুমন দুবে, সুনীল ভান্ডারি ও একজন অজ্ঞাত ব্যক্তির নাম রয়েছে। একই সঙ্গে তিনটি কোম্পানি অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালস লিমিটেড (এজেএল), ইয়ং ইন্ডিয়ান ও ডোটেক্স মার্চেন্ডাইজ প্রাইভেট লিমিটেডের বিরুদ্ধেও অভিযোগ আনা হয়েছে।ন্যাশনাল হেরাল্ড জালিয়াতি মামলা শুরু হয় ২০১২ সালে। সে সময় বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী অভিযোগ করেন, অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালস লিমিটেড (এজেএল) অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে কংগ্রেস শীর্ষ নেতারা প্রতারণা করেছেন। এজেএল ১৯৩৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়, ন্যাশনাল হেরাল্ড ছিল তাদের প্রথম প্রকাশনা।পত্রিকাটি ২০০৮ সালে আর্থিক সংকটে বন্ধ হয়ে যায়। সে সময় এজেএলের বকেয়া ঋণ ছিল ৯০ কোটি রুপি। কংগ্রেস দাবি করে, দলটি ১০ বছরে প্রায় ১০০ কিস্তিতে পুরো ৯০ কোটি রুপি ঋণ হিসেবে দেয় এজেএলকে। কিন্তু এজেএল ঋণ পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয়। পরে ওই ঋণকে শেয়ারে রূপান্তর করা হয়। রাজনৈতিক দল সরাসরি কোনো বাণিজ্যিক কোম্পানির শেয়ার রাখতে পারে না বলে এই শেয়ারগুলো হস্তান্তর করা হয় অলাভজনক সংস্থা ইয়াং ইন্ডিয়ান-এর কাছে। ইয়াং ইন্ডিয়ানের ৩৮ শতাংশ শেয়ারের মালিক সোনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধী। বাকি শেয়ারগুলো মতিলাল ভোরা, অস্কার ফার্নান্দেস, স্যাম পিত্রোদা ও সুমন দুবের। এই কাঠামোর মাধ্যমেই ইয়াং ইন্ডিয়ান এজেএলের নিয়ন্ত্রণমূলক শেয়ার অর্জন করে এবং গান্ধী পরিবারের দুই সদস্য প্রতিষ্ঠানের পরিচালক হন।

আরো দেখুন

Advertisment

জনপ্রিয়