১৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ  । ১লা ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ 

কেশবপুরের ভান্ডারখোলা সম্মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয় কক্ষ সংকটে ঝুঁকিপূর্ন ঘরে পাঠদান

মাসুম বিল্লাহ, কেশবপুর
যশোরের কেশবপুরের ভান্ডারখোলা সম্মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি অর্ধ শতাধিক বছর ধরে শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা বিস্তারে গৌরবময় ভূমিকা ও ঐতিহ্য বহন করে চলেছে। শিক্ষার আলো ছড়ানো এ প্রতিষ্ঠানটিতে কক্ষ সংকটের কারনে ঝুঁকিপূর্ন ঘরে চলছে পাঠদান। এতে শিক্ষার্থীদের পাঠদান চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এ ব্যাপারে প্রতিকার চেয়ে বারবার উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হলেও অদ্যাবধি কোনো সাহায্য মেলেনি। বিদ্যালয়ের অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বিদ্যানন্দকাটি ইউনিয়নের ভান্ডারখোলা বাজারের পূর্বপাশে ১৯৬৬ সালে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় ১”একর ৫৪ শতক ওপর ভান্ডারখোলা সম্মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়। ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত ৩০২ জন শিক্ষার্থীর সার্বিক সেবায় বিদ্যালয়টিতে ১৬ জন শিক্ষক ও ৪ জন কর্মচারী রয়েছেন। প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠার সময় ইটের গাথূনির টিনের ছাউনির ৫ রুম বিশিষ্ট একটি ঘর নির্মাণ করা হয়। পরবর্তীতে এ রুমগুলোর টিন নষ্ট হওয়ার কারনে টিন খুলে আর সিসি ছাদ দেওয়া হয়। কিন্তু এর মধ্যে শিক্ষার্থীদের সংকুলান না হওয়ায় এর পাশে ২০১৯ সালে সরকারি অর্থায়নে ৮ রুম বিশিষ্ট আরও একটি দুই তলা ভবন নির্মাণ কার হয়। অর্থাভাবে পুনসংস্কার না হওয়ায় প্রতিষ্ঠানটির পুরাতন ঘরের দেয়াল ও ছাদে ফাটল দেখা দিয়েছে। সামন্য বৃষ্টি হলেই পানি পড়ে। এতে দরজা, জানালা, আসবাবপত্র জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। ছোট ছোট রুম, স্যাঁতসে্যঁতে মেঝের শ্রেণি কক্ষে চলে শিক্ষার্থীদের পাঠদান। এর ফলে শিক্ষার্থীরা অমনযোগি হয়ে পড়ে। বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আনিছুর রহমান জানান, নতুন ভবনে ৮টি রুমের অফিস কক্ষ, বিজ্ঞানাগার, কম্পিউটার বিভাগ ও মেয়েদের জন্য কমন রুম করা হয়েছে। রুম সংকটের কারনে বাধ্য হয়ে পুরাতন ঘরের ঝুঁকিপূর্ন কক্ষে চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান। এতে শিক্ষার্থীদের পাঠদান চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু সাঈদ জানান, অর্থাভাবে পুনসংস্কার না হওয়ায় প্রতিষ্ঠানটির পুরাতন ঘরের দেয়াল ও ছাদে কয়েক জায়গায় ফাটল দেখা দিয়েছে। সামান্য বৃষ্টিতে ছাদ দিয়ে পানি পড়ায় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, মূল্যবান বই, আসবাবপত্র, কাপড় চোপড় ভিজে ক্ষতি হয়। এতে শিক্ষার্থীরা অমনযোগি হয়ে পড়ে। এ ব্যাপারে প্রতিকার চেয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সেখ ফিরোজ আহমেদ বলেন, ওই বিদ্যালয়ের ঝুকিপূর্ন ভবনের কথা ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। সরকারি অনুদান ছাড়া এ সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়।

আরো দেখুন

Advertisment

জনপ্রিয়