প্রতিদিনের ডেস্ক:
রুশ বাহিনী ইউক্রেনের সামনের সীমান্তবর্তী শহর পোক্রোভস্ক এবং ভোভশানস্ক দখল করেছে এবং অন্যান্য এলাকায় অগ্রসর হচ্ছে বলে রাশিয়ার সামরিক কমান্ডাররা প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে জানিয়েছেন। সোমবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ খবর বলা হয়েছে।পুতিন এই অর্জনকে ভবিষ্যতের আরো সফল অভিযানের ভিত্তি হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তবে ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা এখনো এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।ঘোষণাটি এমন এক সময়ে এসেছে যখন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি প্যারিসে আলোচনায় ছিলেন এবং মার্কিন বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ মস্কোয় বৈঠকের জন্য যাচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত শান্তি পরিকল্পনা আলোচনা চলছে। রাশিয়ার সামরিক প্রধান ভ্যালেরি গেরাসিমভ রবিবার পুতিনকে জানিয়েছেন, রুশ সেনারা পোক্রোভস্ক (রাশিয়ায় ক্রাসনোআর্মেইস্ক) দখল করেছে। ডোনেস্ক অঞ্চলের এই কৌশলগত শহরটি রাশিয়ার ধীরে ধীরে পশ্চিম দিকে অগ্রসর হওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য।শহরটি মস্কোর হামলার লক্ষ্য ছিল।পুতিনকে রাশিয়ান সংবাদ সংস্থাগুলো উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, ‘এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। আমরা সবাই এর গুরুত্ব বুঝি। এটি আমাদের বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করার সময় নির্ধারিত লক্ষ্য পূরণে সহায়তা করবে।পুতিন আরো বলেছেন, ‘রাশিয়ান বাহিনী আত্মবিশ্বাসীভাবে নেতৃত্ব ধরে রেখেছে এবং অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। রুশ বাহিনী প্রায় সব দিকেই অগ্রসর হচ্ছে।’ তিনি উল্লেখ করেছেন, ভবিষ্যতে রাশিয়ার সীমান্ত বরাবর একটি ‘নিরাপত্তা অঞ্চল’ তৈরি করা হবে যাতে ইউক্রেনীয় হামলা থেকে বসতি রক্ষা করা যায়।গেরাসিমভ জানিয়েছেন, রাশিয়ার বাহিনী পুরো ডনবাস অঞ্চল দখল করার লক্ষ্যে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। ডনবাস হলো ডোনেস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চলের শিল্পাঞ্চল।অন্যদিকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মঙ্গলবার মস্কোতে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফের সঙ্গে বৈঠক করবেন। ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান নিয়ে একটি সমঝোতা চুক্তি হওয়ার ব্যাপারে অত্যন্ত আশাবাদী বলে হোয়াইট হাউস জানানোয় এই বৈঠককে গুরুত্বের চোখে দেখা হচ্ছে।মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনার পররাষ্ট্র কূটনীতিতে অনানুষ্ঠানিক উপদেষ্টার ভূমিকা পালন করছেন।এর আগে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের কর্মকর্তাদের মধ্যে দুই দিনের আলোচনা হয়েছে ফ্লোরিডায়। সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনে প্রস্তুত করা শান্তি-প্রস্তাবটি আরো পরিমার্জন করা হয়, যা আগে রাশিয়ার জন্য অনুকূল বলে বিবেচিত হচ্ছিল।ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বৈঠকগুলোকে গঠনমূলক বলে উল্লেখ করেছেন। তবে তিনি বলেছেন, এখনও কিছু কঠিন বিষয় বাকি আছে, যেগুলো নিয়ে আরো আলোচনা ও সমাধান প্রয়োজন।

