প্রতিদিনের ডেস্ক:
শীতের বিদায় এবং গরমের আগমন। সূর্যের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া জানান দিচ্ছে তারই। তবে এখনো এসি চালিয়ে রাখার মতো গরম না হলেও খুব শিগগির এসি ব্যবহার শুরু করবেন। তবে গত তিন চার মাস এসি বন্ধ থাকায় বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে। আবার হুট করেই এসি চালিয়ে বিদ্যুৎ বিল বেশি আসাটা স্বাভাবিক।তবে এসির সেটিংসে কিছু পরিবর্তন করেই আপনার বিদ্যুৎ বিল কমাতে পারবেন। সঙ্গে আরও যেসব বিষয়ে খেয়াল রাখবেন তা জেনে নিন->> অনেকের ঘরে এসি ব্যবহারের সময়ও দরজা, জানলা খোলা রাখেন। ফলে ঘর ঠান্ডা হতেও বেশি সময় নেয়। এতে যা হয় তা হচ্ছে, ইলেকট্রিক বিল বাড়তে থাকে। তাই এসি ব্যবহারের আগে ঘরের দরজা, জানালা ভালোভাবে বন্ধ করে নিন।>> ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস কাট অফ রেটকাট অফ মানে সেই সেটিংস যাতে একটা নির্দিষ্ট সময়ের পরে এসি আপনাআপনি বন্ধ হয়ে যাবে। ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস কাট অফ রেট রাখলে ঘর জলদি ঠান্ডা হবে, হয়ে গেলেই এসি বন্ধ হয়ে যাবে। ঘর গরম হলে আবার চলতে থাকবে। এই মোডে এসি পাওয়ার খরচ কমিয়ে ইলেকট্রিক বিলও হালকা করবে।>> টাইমার সেট করে রাখতে পারেন। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার সময় ২-৩ ঘণ্টার টাইমার সেট করে রাখতে পারেন। এতে ঘুমিয়ে পড়ার পরেও কিছুক্ষণ এসি ঘর ঠান্ডা করে চলবে। ফলে ঘরে শীতলতার অভাব হবে না। একটু পরে বন্ধও হয়ে যাবে, সারারাত না চললে ইলেকট্রিক বিলও কম আসবে।>> এয়ার ফিল্টার সার্ভিসিংএয়ার ফিল্টারগুলো এসির ধুলাকে দূরে রাখে যাতে এটি সহজে চলতে পারে। এটি ধুলা আটকায় এবং এসির ভেতরের পরিষ্কার বাতাসকে ঠান্ডা হতে দেয়। প্রতিদিনের ব্যবহারে এই ফিল্টারগুলোয় ধুলোয় জমে যায় এবং এসিকে ভেতরে বাতাস পেতে কঠিন করে তোলে যা প্রায়শই হাই পাওয়ার খরচের দিকে নিয়ে যায় আমাদের। এক্ষেত্রে ফিল্টার পরিষ্কার রাখলে এসি ঠিকভাবে চলবে, বেশি পাওয়ার খরচ করবে না, বিলও কম আসবে। এয়ার ফিল্টার পুরোনো হলে সেগুলো দ্রুত বদলে নিন।>> নিয়মিত অন্য সার্ভিসিংনিয়ম করে এসি সার্ভিসিং করান। এতে কয়েলগুলো সাফ করা হবে, কুল্যান্ট ঠিক মতো কাজ করছে কি না তাও দেখা হবে খতিয়ে। এসি মসৃণ ভাবে চললে বেশি পাওয়ার খরচ হবে না, ইলেকট্রিক বিলও আপসে কম আসবে।।

