নিজস্ব প্রতিবেদক
কোটি টাকার মানহানির অভিযোগে যশোর সদরের তালবাড়িয়া ডিগ্রি কলেজের সভাপতি ও অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে যশোর আদালতে মামলা হয়েছে। রোববার যশোর শহরতলীর নওয়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর তুহিন বাদি হয়ে এ মামলা করেছেন। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান আহম্মেদ অভিযোগের তদন্ত করে পিবিআইকে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদির আইনজীবী মিলন আহমেদ। আসামিরা হলো, তালবাড়িয়া ডিগ্রি কলেজ পরিচালনা পরিষদরে সভাপতি ও ঘোপ জেলরোডের মৃত আমানত আলী বিশ্বাসের ছেলে কামাল হোসেন হিরা ও কলেজের অধ্যাক্ষ ও বারান্দীপাড়া কদমতলা এলাকার শফিকুল ইসলাম শফির মেয়ে ড. শাহানাজ পারভীন।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, তালবাড়িয়া ডিগ্রি কলেজের অধ্যাক্ষ ও সভাপতি একে অপরের সহযোগীতায় অনিয়ন ও দূর্নীতির মাধ্যমে কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন। গত ১৪ মার্চ এলাকাবাসী এর প্রতিবাদে কলেজে জড়ো হয়। এ সংবাদ পেয়ে জনপ্রতিনিধি হিসেবে হুমায়ুন কবীর তুহিন কলেজে যেয়ে উভয় পক্ষের বক্তব্য শোনেন এবং ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপাড়ার পরিবেশ ফিরিয়ে আনেন। এতে চরমভাবে ক্ষিপ্ত হন কলেজের সভাপতি ও অধ্যক্ষ। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৯ মার্চ সভাপতি ও অধ্যক্ষ প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে অধ্যক্ষ ও সভাপতি সাংবাদিকদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করতে সহযোগিতা করেন। পরদিন সাক্ষীদের মাধ্যমে সংবাদপত্রে এ সংবাদ দেখে তিনি মর্মাহত হন। তাদের মিথ্যা ভিত্তিহীন বক্তব্যে চেয়ারম্যান তুহিনের কোটি টাকার সম্মানহানি হয়েছে।

