১৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ  । ৪ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ 

বাঁচানো গেল না মনিরামপুরের সেই পারভীনা বেগমকে

নিজস্ব প্রতিবেদক
মনিরামপুরে পারিবারিক কলহের জেরে স্বামীর দায়ের কোপে গুরুতর জখমের দুই দিন পর গৃহবধূ পারভিনা বেগম (৪৫) মারা গেছেন। আজ শনিবার (২৯ জুন) নেহালপুর ক্যাম্প পুলিশের ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল হান্নান গৃহবধূর মৃত্যু হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। শুক্রবার রাত ১২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। এরআগে, বুধবার রাত ১১টার দিকে স্বামী উজির আলী পারভিনা বেগমকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করেন। এদিকে স্ত্রীকে কুপিয়ে জখম করার কয়েক ঘণ্টা পর স্বামী উজির আলীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি দড়ি দিয়ে শজনেগাছের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন বলে ধারণা পুলিশের। এসআই আব্দুল হান্নান জানান, স্ত্রীকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় গত বুধবার রাত ২টার দিকে উজির আলীর বিরুদ্ধে থানায় হত্যাচেষ্টার মামলা করেন পারভিনা বেগমের ভাই আসাদ গাজী। এর পরই উজির আলীকে ধরতে আমরা অভিযানে নামি। কিন্তু পলাতক থাকায় তাঁকে ধরা যায়নি। পরদিন সকালে উজিরের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার হলে নিহতের ভাই বাদী হয়ে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করেছেন। এসআই আব্দুল হান্নান আরও জানান, উজির আলীর লাশের ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর জানা যাবে তিনি কীভাবে মারা গেছেন। স্থানীয়রা জানান, তিন স্ত্রী বর্তমান থাকার পরও নেহালপুরের বালিদা গ্রামের ভ্যানচালক উজির আলী একই গ্রামের দেন আলী গাজীর মেয়ে পারভিনাকে বিয়ে করে স্থানীয় ঝাউতলা নামক এলাকায় ৯ মাস আগে একটি ভাড়া বাড়িতে ওঠেন। সেখানে কলহের জেরে গত বুধবার রাতে তিনি গাছি দা দিয়ে স্ত্রী পারভিনাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করে পালিয়ে যান। পরে পারভিনা বেগমের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে তাঁকে মনিরামপুর হাসপাতালে নেন। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ওই রাতে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন স্বজনেরা।

আরো দেখুন

Advertisment

জনপ্রিয়