নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রতারণার অভিযোগে যশোর সরকারি এমএম কলেজের সহকারী অধ্যাপক ইমরুল হোসনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। বুধবার শহরের স্টেডিয়াম পাড়ার তানভীর হোসেন সৈকত বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম কিবরিয়া অভিযোটি গ্রহণ করে আসামির প্রতি সমন জারির আদেশ দিয়েছেন। সহকারী অধ্যাপক ইমরুল হোসেন বাঘারপাড়ার দরগাহপুর গ্রামের আব্দুল হাইয়ের ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী মোস্তফা হুমায়ুন কবীর। মামলার অভিযোগে জানা গেছে, আসামি যশোর সরকারি এমএম কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ইমরুল হোসেনের সাথে দীর্ঘ দিনের পরিচয় তানভীর হোসেন সৈকতের। পরিচয়ের সূত্রধরে দুইজন মিলে ৩২ লাখ টাকা মুলধনে দরগাহপুর গ্রামের ওকে ডেইরি ফার্ম গোড়ে তোলেন। চুক্তিতে ইমরুল হোসেন চেয়ারম্যান ও সৈকত সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালন এবং লভ্যাংশের সমান অংশ পাবেন বলে উল্লেখ করা হয়। একই সাথে সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালন কালে সৈকতকে প্রতি মাসে ১২ হাজার টাকা করে সম্মানি দেয়ার কথা ছিল। ব্যবসা পরিচালনাকালে সৈকত আরও ৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা ব্যবসায় বিনিয়োগ করেন। পরবর্তীতে আসামি ইমরুল হোসেন ব্যবসা নিজের দখলে রেখে সম্মানীসহ কোন হিসাব দেননি। ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর মাসে ইমরুল হোসেন যৌথ ব্যবসা পরিচালনা করবেনা জানিয়ে দিয়ে একাই ব্যবসা পরিচালনা করতে থাকেন। এরমধ্যে ব্যবসায় বিনিয়োগকৃত মূলধন ও সম্মানীসহ আসামি ইমরুল হোসেনের কাছে ২০ লাখ ৮৪ হাজার টাকা পাওনা হয়। কামরুল হোসেন পাওনা টাকা না দিয়ে সৈতককে ঘোরাতে থাকেন। একপর্যায়ে এমএম কলেজের অধ্যাক্ষের মাধ্যমে এক সালিসে কামরুল হোসেন দ্রুত পাওনা টাকা পরিশোধ করবেন বলে অঙ্গীকার করেন। ২০২৩ সালের ১৩ ডিসেম্বর ৬ লাখ ও চলতি বছরের ৫ মে ২ লাখ টাকা পরিশোধ করেন ইমরুল হোসেন। ৩১ মের মধ্যে বাকি ১২ লাখ ৮৪ হাজার টাকা পরিশোধ করার কথা থাকলেও দেননি ইমরুল হোসেন। পাওনা টাকা আদায়ে ইমরুল হোসেনকে লিগ্যাল নোটিশ দেয়া হয়। নোটিশ পেয়ে টাকা পরিশোধ না করায় গত ২৬ জুলাই ইমরুল হোসেনের কাছে টাকা চায়লে দিতে অস্বীকার করায় তিনি আদালতে এ মামলা করেছেন।

