রেজাউল করিম, লোহাগড়া
নড়াইলের লোহাগড়ায় বিয়ের ১৫ দিনেই নববধুকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী শশুর ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে। গত বৃহস্পতিবার উপজেলার দেবী গ্রামের বাহারুলের স্ত্রী নববধূ আফসানার ঝুলন্ত লাশ তার ঘর থেকে উদ্ধার করেছে লোহাগড়া থানা পুলিশ। জানা গেছে,গত ১৫ দিন আগে দেবী গ্রামের ইদ্রিস শেখের ছেলে মোঃ বাহারুলের সাথে শুলটিয়া গ্রামের কুবাদ মোল্লার মেয়ে আফসানা খানমের বিয়ে হয়। হাতের মেহেদীর রং মুছতে না মুছতেই মৃত্যু হলো নববধু আফসানার। আফসানার পরিবারের অভিযোগ তাদের মেয়ের মৃত্যু স্বাভাবিক বা আত্মহত্যা নয়, তাকে স্বামী শশুর ও শাশুড়ি মিলে হত্যা করে গলায় ফাঁস দিয়ে ঘরের আড়ার বাশের সাথে ঝুলিয়ে রেখেছে। স্থানীয়রা জানান, বিয়ের এই ১৫ দিনে আফসানার সাথে তার স্বামী শাশুড়ী খুব খারাপ আচারন ও যৌতুকের জন্য চাপ সৃষ্টি করতো। বিয়ের সময় আফসানার পরিবারের কাছে ছেলের পরিবার ২ লক্ষ্য টাকা যৌতুক দাবি করে আসছিলো। আফসানার বোন বলেন, যৌতুকের টাকার জন্য আমার বোনের জীবন দিতে হলো, আমি ওদের ফাঁসি চাই।মৃত্যুর খবর পেয়ে আফসানার স্বজনরা দেবী গ্রামে গেলে এবং তাদের মেয়ের হত্যার বিচার দাবী করলে ঐ গ্রামের লোকজন তাদের উপর চড়াও হয়। লোহাগড়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে এবং আফসানার মৃত দেহ ময়না তদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালে পাঠায়।এঘটনায় পর থেকে গৃহবধূর স্বামী ও শ্বশুর পলাতক রয়েছে। এবিষয়ে লোহাগড়া থানার ওসি তদন্ত আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান,নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে ।মেডিকেল রিপোর্ট আসার পর হত্যা নাকি আত্মহত্যা জানা যাবে।

