বাড়ছে শীত, ফুটপাতে গরম কাপড় বেচাকেনার হিড়িক

0
149

প্রতিদিনের ডেস্ক
বেড়ে গেছে শীতের তীব্রতা। ফলে রাজধানীর ফুটপাতের দোকানগুলোতে বেড়ে গেছে গরম কাপড়ের বেচাকেনাও।ফুটপাটের দোকানে বেশিরভাগ ক্রেতাই নিম্নআয়ের মানুষ। বর্তমান বাজার পরিস্থিতির কারণে নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজনও খোলা আকাশের নিচের এই দোকানগুলো থেকে উষ্ণ কাপড় কিনে নিচ্ছেন।
রাজধানীর বাড্ডা, গুলিস্তান, বায়তুল মোকাররম, পল্টন, দয়াগঞ্জ, দোলাইপাড়, ভিক্টোরিয়া পার্কসহ বড় বড় রাস্তার দুই পাশে বসেছে শীতের নতুন ও পুরোনো কাপড়ের পসরা। এছাড়া মহল্লার অলি-গলি, স্কুলের সামনে ভ্যানগাড়ির ওপরও শীতের কাপড়ের পসরা সাজিয়ে বসেছেন মৌসুমী ব্যবসায়ীরা।বিকেল থেকে নারী-পুরুষ-শিশুসহ ক্রেতারা ভিড় করছেন ফুটপাতের দোকানগুলোতে। যদিও প্রতিদিন সকাল থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত বেচাবিক্রি করেন দোকানিরা।
বিক্রেতারা বলছেন, এসব দোকানের পোশাকের দাম জনসাধারণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকে। ফলে মার্কেটের দোকানের চেয়ে এখন বেশিরভাগ ক্রেতা ঝুঁকছেন ফুটপাতের দোকানে। তারা এখানে দেখে-শুনে কম দামে নতুন ও পুরোনো কাপড় কিনতে পারেন।
যাত্রাবাড়ীর ফুটপাতের এক দোকানদার বলেন,পৌষ মাসের প্রথম দিকে বসে বসে সময় পার করেছি। এই কয়েকদিন শীত একটু বাড়ায় এখন মোটামুটি ব্যবসা ভালো হচ্ছে। জানি না শীত কতদিন থাকে। তবে কেনার চেয়ে ক্রেতারা কাপড় নাড়াচাড়া বেশি করেন। আর দামও বলে কেনার চেয়ে কম। কিছু বলার নেই। কারণ দশজন দেখবে একজন কিনবে। এটা ভেবেই ব্যবসা করছি।
ফুটপাতের দোকানে কাপড় কিনতে আসা সেকান্দার মোড়ল বলেন, শীত নিবারণের জন্য প্রয়োজন গরম কাপড়। মার্কেটে কাপড়ের দাম বেশি। ফুটপাতে নতুন ও পুরোনো কাপড়ের দাম তুলনামূলক কম, আর দেখতেও খুব ভালো। তাই ফুটপাতের কাপড়ের দোকানে কিনতে এসেছি। যে চাদর ও সোয়েটার আমি এখান থেকে চার শ’ টাকা দিয়ে কিনেছি, সেটা মার্কেটের দোকানে গেলে হাজার-বার শ’ টাকা লাগতো। গরিবের জন্য এই দোকানগুলো অনেক উপকারের।
ভ্যানে ফেরি করে শীতের কাপড় বিক্রি করা কয়েকজন দোকানদার বলেন, এসব কাপড় আমরা বিভিন্ন স্থান থেকে সংগ্রহ করে বিভিন্ন রাস্তায় অলি-গলিতে বিক্রি করি। দাম কম হওয়ায় বেচাকেনা বেশি হচ্ছে। শীত যত বাড়বে এই কাপড়ের চাহিদাও তত বাড়বে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here