যশোরে দুই মাসে নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত এক হাজারের বেশি রোগী

0
33

আফতাবুজ্জামান উজ্জ্বল/ নিপা সরকার
শীতের প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় যশোরের শিশু ও বৃদ্ধদের মধ্যে শীতজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়ে গেছে। ফলে প্রতিদিনই বাড়ছে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। হাসপাতালে ভর্তির পাশাপাশি প্রতিদিন বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিচ্ছে নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী। জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত দুই মাসে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে ১ হাজার ১৮টি শিশু ও বৃদ্ধ রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যানুযায়ী, এ সময় যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালসহ জেলার সাতটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে ৬৫৬টি শিশু ও বয়স্ক রোগী চিকিৎসা নিয়েছে । এছাড়া নিউমোনিয়া আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয় অন্তত ৩৬২টি রোগী। চিকিৎসকরা বলছেন, শীতে শিশুদের ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়ে গেছে। তবে এবছর সে তুলনায় অনেক কম রোগী চিকিৎসা নিয়েছে। যশোর শহরের ফতেপুরের পুরের গৃহবধূ মর্জিনা খাতুন জানান, ‘তার আট মাস বয়সের শিশু আরিয়ান নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ১২ জানুয়ারি থেকে সদর হাসপাতালে ভর্তি। শ্বাসকষ্টের পাশাপাশি থেমে থেমে জ্বর আসছে। এখন বেশ ভাল আছে।’ যশোর সদর হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে দেখা গেছে, মাত্র ৫টি শয্যা। ডায়রিয়া ওয়ার্ডে প্রতিদিন ভর্তি হচ্ছে ৯-১৫ টি রোগী। শয্যার তুলনায় অতিরিক্ত রোগী নিয়ে বিপাকে পড়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ডায়রিয়ায় আক্রান্ত এসব রোগির অধিকাংশ হাসপাতালের মেঝেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। যশোরের সিভিল সার্জন ডা. বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস বলেন, ‘ঠাণ্ডাজনিত কারণে শিশুদের ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া বা শ্বাসকষ্ট দেখা দিচ্ছে। গত দুই মাসে ১ হাজার ১৮ টি রোগি চিকিৎসা নিয়েছে। চিকিৎসার পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে শিশুদের সুরক্ষা দেয়ার জন্য বিভিন্নভাবে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। বিশেষ করে শিশুদের শীতে বেশি বাইরে না নিয়ে আসা ও তাদের খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারেও যেন খেয়াল রাখেন মা-বাবা। ডায়রিয়া বা নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তির পাশাপাশি রোগী হাসপাতালের বহির্বিভাগেও চিকিৎসা নিচ্ছে বলে জানান সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক হারুন আর রশীদ। তিনি বলেন,‘ ঠাণ্ডাজনিত আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে আসছে। বর্তমানে রোগীর তেমন চাপ নেই। রোগীর চাপ না থাকায় কোন বেগ পেতে হচ্ছে না। বরং গত বছরের তুলনায় এ বছর রোগীর সংখ্যা অনেক কম।’