অস্থির চালের বাজার বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ

0
21

প্রতিদিনের ডেস্ক
খুচরা বাজারে মানভেদে সব ধরনের চালের দাম এখনও বাড়তি। ফেনীর চালের আড়ত ও বড় বাজারের বিভিন্ন মুদি দোকানে প্রতি কেজি মোটা চাল ৫০ টাকা ও মিনিকেট চাল কেজিপ্রতি ৬৫ থেকে ৬৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চালের এ বাড়তি দামে বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) ফেনী বড় বাজারের বিভিন্ন দোকান ঘুরে জানা যায়, গত তিনদিনে চালের দাম প্রকারভেদে বস্তাপ্রতি ১৫০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা বাড়তি দামে বিক্রি হয়। তবে শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) দাম কিছুটা কমেছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। তবে বাড়ার চাইতে কমার হার অনেক কম বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ফেনী বড় বাজারের মেসার্স হাজী আব্দুল মান্নান চালের আড়তের ম্যানেজার কিশোর বণিক জানান, নবাব মিনিকেট চাল ৬৫ থেকে ৬৮ টাকা, রজনীগন্ধা মিনিকেট ৬৭ থেকে ৬৮ টাকা ও মোটা চাল ৪৭ থেকে ৫০ টাকা এবং আতপ চাল ৬৫ থেকে ৭০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
তিনি বলেন, শুক্রবার কিছুটা কম দামে বিক্রি হয়েছে। কিন্তু গত এক সপ্তাহ যাবত দাম বেশি। যে দাম বেড়েছে সে অনুযায়ী কমেনি। দাম বাড়ার আগে এসব চাল ৬২ থেকে ৬৩ টাকায় বিক্রি হতো বলে জানান তিনি।রজনীগন্ধা মিনিকেট চালের পরিবেশক মোহাম্মদ মনোয়ার বলেন, রজনীগন্ধা মিনিকেট বস্তাপ্রতি ১৫০ টাকা বেড়ে ৩ হাজার ৩৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছিল। তবে গত ৩ দিন যাবত বস্তাপ্রতি ১৫০ টাকা কমেছে।
তিনি বলেন, মোটা চাল পায়জাম ২ হাজার ৯৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছিল। তবে সেটি এখন কমে ২ হাজার ৪৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। দাম বাড়ার আগের তুলনায় কেজি প্রতি ৫৫ টাকা বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে।
দাম বাড়ার বিষয়ে ব্যবসায়ীরা বলছেন, এটা জাতীয় বিষয়। আড়ত থেকে যে দাম নির্ধারণ করা হয় আমাদের সে দামে বিক্রি করতে হয়। তবে পাইকারি পর্যায়ে চালের দাম কমার কথা বললেও খুচরায় তার প্রভাব নেই। সপ্তাহের ব্যবধানে খুচরা বাজারে চালের দাম কেজিতে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে।
শহরের রিকশাচালক আমজাদ হোসেনের পরিবারে ছয় সদস্য। তিনি বলেন, পরিবারে প্রতিদিন গড়ে তিন কেজি চাল লাগে। আগে ১২০ টাকায় এক দিনের চাল কেনা যেত। এখন ৩০ টাকা বেশি লাগে। চাল কিনতে প্রতি মাসে তার সংসার খরচ বেড়েছে গড়ে ১ হাজার টাকা।
ফাতেমা কানিজ নামে একজন বলেন, সবধরনের চালের দাম বাড়তি? এভাবে হলে মধ্যবিত্ত পরিবারের সংসার চালানো অসম্ভব। একে একে সবকিছুর দাম বাড়ছে। এসব বিষয়ে প্রশাসনের নজরদারি প্রয়োজন।
এ বিষয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ফেনীর সহকারী পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. কাউসার মিয়া বলেন, ফেনীর অনেক সেক্টরে অনেক পরিবর্তন এসেছে। অনেক সময় দাম বাড়ার ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদেরও কিছু করার থাকে না। ফেনীতে সচেতনতা বাড়ছে। পাশাপাশি যারা কারসাজি করে তাদেরকে আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। আইনের আওতায় আনা হচ্ছে।