‘সরকারকে জবাবদিহির আওতায় আনতে ৭০ অনুচ্ছেদ বাধা হবে না’

0
17

প্রতিদিনের ডেস্ক
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয় এবং তুলনামূলক দুর্বল বিরোধীদলের কারণে সংসদে জবাবদিহি আটকাবে না বলে মনে করছেন বিশিষ্টজনেরা। সংসদে নিজ নিজ দলের সদস্যরাও সরকারকে জবাবদিহির আওতায় আনতে পারবে বলে মনে করেন তারা। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ বাধা হয়ে দাঁড়াবে না বলে তাদের অভিমত।
শনিবার (২৭ জানুয়ারি) সম্পাদকদের শীর্ষ সংগঠন এডিটরস গিল্ড আয়োজিত ‘দ্বাদশ সংসদের নতুনত্ব ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় এ বিষয়টি উঠে আসে। এডিটরস গিল্টের সভাপতি এবং একাত্তর টেলিভিশনের প্রধান সম্পাদক মোজাম্মেল বাবু বৈঠক সঞ্চালনা করেন।
বৈঠকে দৈনিক আমাদের নতুন সময়ের ইমেরিটাস সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খান বলেন, ‘বাংলাদেশের সংসদের ইতিহাসে, আওয়ামী লীগ যেভাবে তার মন্ত্রীদের জবাবদিহির আওতায় এনেছে, সেদিক বিবেচনায় নিলে সংসদকে জবাবদিহিমূলক করতে আওয়ামী লীগের ভূমিকাই যথেষ্ট হবে।’ এ ক্ষেত্রে সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ কোনও বাধা হবে না বলেও মনে করেন তিনি।
নাঈমুল ইসলাম খান বলেন, ‘স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা কী করেন সেটাও আমরা দেখতে পাবো। শুধু সমালোচনা করার জন্য একটি বিরোধী দল থাকতে হবে, এটা বৈধ কিছু না।’
টিবিএন টুয়েন্টিফোরের প্রধান সম্পাদক নাজমুল আশরাফ বলেন, ‘এবারের নির্বাচনে বিপুল সংখ্যক স্বতন্ত্র প্রার্থী অংশগ্রহণ করেছে। এটা একটা নতুনত্ব। এবারের সংসদে বিরোধী দল খুবই ছোট। কিন্তু বাংলাদেশের ইতিহাসে এর চেয়েও ছোট বিরোধী দল ছিল। বিরোধী দলের এসব সদস্যরা সংসদে সরকারের কতটা সমালোচনা করতে পারেন কিংবা ভালো কিছুতে কতটা সহায়ক হতে পারেন তার ওপর নির্ভর করবে সংসদ কতটা কার্যকর হয়েছে।’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ বলেন, ‘এই নির্বাচনে কোন দল বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করবে তা যেমন নিশ্চিত ছিল, অন্য যেকোনও দল অংশগ্রহণ করলেও তাই হতো।’
সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক দিলিপ কুমার সরকার বলেন, ‘একটা নির্বাচন হলে আমরা সেটাকে নানান ছকে ফেলে তার যথাযথটা যাচাই করি। সে হিসেবে এবারের নির্বাচনটা ছিল একপেশে।’
মোজাম্মেল বাবু বলেন, ‘নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা কিংবা না করা প্রত্যেকটা দলের গণতান্ত্রিক অধিকার। বিএনপি যেটা করেছে, সেটা তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু তারা নির্বাচন বর্জনের পাশাপাশি বিএনপি এতে বাধা দিয়েছে, লিফলেট বিতরণ করেছে– এটা কিন্তু অপরাধ। বিএনপি নির্বাচনে না এলেও, বাধা দিলেও ৪২ শতাংশ ভোট পড়েছে। এটা নির্বাচন কমিশনের সফলতা।’
বৈঠকে আরও বক্তব্য রাখেন– সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন, গ্লোবাল টেলিভিশনের প্রধান সম্পাদক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, মানবাধিকার ও নারী অধিকার কর্মী রোকেয়া কবীর এবং গাজীপুর-৫ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য আখতারুজ্জামান।