পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নেই, তবুও চলছে ইটের ভাটা

0
23

ডুমুরিয়া সংবাদদাতা
খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার রুদাঘরা ইউনিয়নের চহেড়া গ্রামে অবস্থিত মেসার্স সেতু ব্রিকস-৪ এর প্রভাবশালী ইট ভাটা মালিকের কাছে অসহায় হয়ে পড়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর। আইন অনুযায়ী পরিবেশ ছাড়পত্র ছাড়া ইট ভাটা পরিচালনা করার কোন সুযোগ নেই। কিন্তু ডুমুরিয়ার মেসার্স সেতু ব্রিকস-৪ এর পরিবেশের ছাড়পত্রের মেয়াদ গত ২০২১ সালের ৭জুলাই শেষ হলেও আইনের তোয়াক্কা না করে ভাটাটি পরিচালিত করে যাচ্ছে মালিকপক্ষ। পরিবেশ ছাড় পত্র বিহীন এই ইট ভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য এলাকাবাসী কর্তৃক একাধিকবার পরিবেশ অধিদপ্তর, খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়, জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনার খুলনা বরাবর আবেদন করা হলেও এখনো এই ইট ভাটার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেনি। পরিবেশ অধিদপ্তরের, তথ্য থেকে জানা যায়, এই ইট ভাটার পরিবেশ ছাড় পত্রের মেয়াদ উত্তীর্ণ হলে ভাটা মালিক কর্তৃক ২০২২ সালের ১২ ডিসেম্বর ছাড়পত্রের জন্য আবেদন করেন। কিন্তু ইট ভাটাটি ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন মোতাবেক অবস্থান অগ্রহনযোগ্য বিবেচিত হওয়ায় ইট ভাটার যাবতীয় কার্যক্রম বন্ধ পূর্বক গ্রহনযোগ্য স্থানে স্থানান্তরের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তর, খুলনা জেলা কার্যালয় কর্তৃক নির্দেশনা প্রদান করে। পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক আরও উল্লেখ করা হয় , উক্ত নির্দেশ পালনে ব্যর্থ হলে আপনার ইট ভাটার বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট ও উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনাসহ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। কিন্তু পরিবেশ অধিদপ্তরকে কোন পাত্তা না দিয়েই ইট ভাটাটি পরিচালিত হলেও অদ্যবধি তারা কোনো ব্যবস্থা গ্রহন করতে পারেনি। পরিবেশ ছাড়পত্র ছাড়াই ইটভাটা কিভাবে পরিচালনা করা হচ্ছে এবিষয়ে ভাটা মালিক গাজী আব্দুল হক বলেন, আমরা পরিবেশের ছাড়পত্রের জন্য আবেদন করেছি। কিন্তু কর্তৃপক্ষ অনুমোদন না দিলে কি করবো। ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ নুরুল আলম বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদন নেই, বিষয়টি আমরা জানলাম। অল্পদিনের মধ্যে আমরা ভাটাটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করবো। উচ্ছেদ নোর্টিশ দেওয়ার পরও কিভাবে ইট ভাটা পরিচালিত হচ্ছে এবিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের খুলনা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক পারভেজ আহম্মেদ বলেন, আপনি অফিসে আসেন, আসলে কথা বলবো। এই বলে তিনি ফোনটি কেটে দেন। পূর্ণরায় তিনি আর ফোন রিসিভ করেনি।সরজমিনে দেখা যায়, ইট ভাটার এক কিলোমিটারের মধ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা, মসজিদ, মন্দির, দোকান রয়েছে, এমনকি ইট ভাটার আইল বরাবর কয়েকটি পরিবার বাস করে। ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন আইনে এরূপ স্থানে ইট ভাটার কোনো কার্যক্রম পরিচালনা নিষিদ্ধ।