মোঃ মহিউদ্দীন, ঝিনাইদহ
ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলায় প্রবাসী চাচাতো ভায়ের স্ত্রীকে ভাগিয়ে বিয়ে করায় লাল্টু মোল্লা (৩৫) নামে একজনকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুই ভাতিজা। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার নিত্যানন্দনপুর ইউনিয়নের কাকুড়িয়াডাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। নিহত লাল্টু কাকুড়িয়াডাঙ্গা গ্রামের গ্যানো মন্ডলের ছেলে ও ইটালী প্রবাসী লকাই মন্ডলের চাচাতো ভাই। লকাই মোল্লা দীর্ঘদিন ইটালী থাকায় তার স্ত্রী রিভা খাতুনকে বিয়ে করে। এ ঘটনায় ক্ষুদ্ধ হয় রিভা খাতুনের দুই ছেলে মিরাজ মোল্লা (২২) ও মিমতাই মোল্লা (২৪)। গ্রামবাসির ভাষ্যমতে, কাকুড়িয়াডাঙ্গা গ্রামের কওছার মোল্লার ছেলে লকাই মোল্লা দীর্ঘদিন স্ত্রী সন্তান রেখে ইটালীতে বসবাস করে আসছে। এ সুযোগে লকাইয়ের স্ত্রী রিভার সাথে লাল্টু মোল্লা পরকীয়ায় জড়িয়ে এক বছর আগে তারা বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকে লাল্টু স্ত্রী নিয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়। দীর্ঘদিন আত্মগোপনে থাকা লাল্টু স্ত্রীকে নিয়ে কিছুদিন আগে বাড়ি ফিরে এসে বসবাস শুরু করে। লকাই মোল্লা গত দুইমাস আগে ইটালী থেকে বাড়ি এসে স্ত্রীকে না পেয়ে আবারো দুই ছেলেকে বাড়ি রেখে ইটালী পাড়ি জমায়। এদিকে মাকে ফিরে না পেয়ে লাল্টুর উপর ক্ষোভ বাড়তে থাকে দুই ভাই মিরাজ ও মিমতাইয়ের। বৃহস্পতিবার দুুপুরে লাল্টু মোল্লা বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে কাকুড়িয়াডাঙ্গা মাঠে পৌছালে মিরাজ ও মিমতাই দুই ভাই মিলে লাল্টুকে কুপিয়ে হত্যা করে। নিত্যানন্দনপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক বিশ্বাস জানান, পারিবারিক কলহের জের ধরে এই হত্যাকান্ড ঘটেছে। প্রত্যক্ষদর্শী সাহেব আলী জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি কাকুড়িয়াডাঙ্গা গ্রামের মাঠের মধ্যে বসে ছিলেন। কোথা থেকে এসে লাল্টু তার পাশে বসে। একটু পরেই তার দুই ভাতিজা ধারালো অস্ত্র দিয়ে লাল্টুকে কোপাতে থাকে। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যায়। শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সফিকুল ইসলাম চৌধূরী জানান পারিবারিক দ্বন্দে লাল্টু নামের এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। হত্যাকারীদের আটকের জন্য অভিযান চলছে।
