প্রতিদিনের ডেস্ক
নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও মেট্রোরেল এলাকায় উড়ানো হচ্ছে ঘুড়ি ও ফানুস। এতে বারবার ব্যাহত হচ্ছে মেট্রোর চলাচল। বিষয়টিকে ‘দুঃখজনক’ বলছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)।সবশেষ গত বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর কাজীপাড়ায় ইলেকট্রিক তারের ওপর ঘুড়ি পড়ে মেট্রোরেলের চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে আড়াই ঘণ্টারও বেশি সময় মেট্রোর চলাচল বন্ধ থাকে।
এর আগে গত থার্টি ফার্স্ট নাইটে মেট্রোর বিভিন্ন অংশে ফানুস পড়ে চলাচল ব্যাহত হয়। পরে ডিএমটিসিএলের কর্মচারীরা সেসব ফানুস অপসারণ করে মেট্রোর চলাচল স্বাভাবিক করে।
ডিএমটিসিএলের ম্যানেজার (সিভিল অ্যান্ড পি-ওয়ে) মাহফুজুর রহমান বলেন, নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও মেট্রোর লাইনের আশেপাশে ঘুড়ি ও ফানুস উড়ানো হচ্ছে। এর ফলে মেট্রোরেল পরিচালনা ব্যাঘাত ঘটছে। আমাদের সবার উচিত সচেতন হওয়া। আমরা বারবার নিষেধ করা সত্ত্বেও মেট্রোরেল সংলগ্ন এলাকায় ঘুড়ি ও ফানুস উড়ানো হয়, এটি খুবই দুঃখজনক। মেট্রোরেল আমাদের জাতীয় সম্পদ। এর প্রতি সবার যত্নবান হওয়া জরুরি।
২০২২ সালে মেট্রোরেল উদ্বোধনের পরপরই থার্টি ফার্স্ট নাইটে আগারগাঁও-উত্তরা রুটে ফানুস পড়ে প্রায় ১০টি স্থানে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। ওই ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না হয় এজন্য তখনই নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল ডিএমপি। কিন্তু তা মানা হয়নি। সেবারও ডিএমটিসিএল কর্মীরা রাত জেগে এসব ফানুস অপসারণ করেছিলেন।
ডিএমটিসিএল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত রুটে মেট্রোরেলের তারে আটকে পড়া ফানুস রাত জেগে পরিষ্কার করা হয়েছে। কর্মীরা পায়ে হেঁটে পুরো রুট থেকে ৩৮টির বেশি ফানুস অপসারণ করেছেন। রাত ৩টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত টহল দিয়ে বিভিন্ন এলাকায় মেট্রোরেলের তারে আটকে থাকা এসব ফানুস সরানো হয়। এ কারণে পরদিন মেট্রোরেল নির্দিষ্ট সময়ে চলাচলে কোনো বিঘ্ন সৃষ্টি হয়নি।
গত ২৮ ডিসেম্বর ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএএন সিদ্দিক ইংরেজি নববর্ষ উদযাপনে মেট্রোরেলের এক কিলোমিটার এলাকার মধ্যে ফানুস উড়ানো বা আতশবাজি না করতে নগরবাসীর প্রতি অনুরোধ জানিয়েছিলেন। এছড়া ঢাকা মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকেও থার্টি ফার্স্ট নাইটে এ বিষয়ে বিধিনিষেধ দেওয়া হয়েছিল।