খাদ্য কর্মকর্তা মনিরুল ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা : পাইপলাইনে আরও কয়েক কর্মকর্তা!

0
25

সুন্দর সাহা
খুলনার কেন্দ্রীয় খাদ্য গুদামের সাবেক সহকারী ব্যবস্থাপক শেখ মনিরুল ইসলাম এবং তার স্ত্রী শারমিন আক্তারের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) স্বামী ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করেন দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয় খুলনার সহকারী পরিচালক মাহমুদুল হাসান। জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বাগেরহাট সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক শেখ মনিরুল হাসান ও তার স্ত্রী শারমিন আক্তারের বিরুদ্ধে এই মামলা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুদকের খুলনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করেন সহকারী পরিচালক মাহমুদুল হাসান শুভ্র।
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বাগেরহাট সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক শেখ মনিরুল হাসান ও তার স্ত্রী শারমিন আক্তারের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলায় এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, সম্পদ বিবরণী অনুসন্ধানকালে শারমিন আক্তারের বিরুদ্ধে মোট এক কোটি ১৮ লাখ ৬৮ হাজার টাকার সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পাওয়া যায়। সম্পদের বিপরীতে তার গ্রহণযোগ্য আয়ের পরিমাণ ৬৬ লাখ ৮৪ হাজার টাকা। অন্যান্য ব্যয় ও জামানত বাদ দিয়ে জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদের পরিমাণ ৪৪ লাখ ১১ হাজার এবং শেখ মনিরুল হাসানের বিরুদ্ধে ১৯ লাখ ৭৬ হাজার ৬৩৭ টাকার সম্পদের মালিকানা অর্জন ও ভোগ দখলে অভিযোগ এনেছে দুদক। দুদক থেকে জানা গেছে, শেখ মনিরুল ইসলাম বর্তমানে বাগেরহাট সদরের উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। ২০১৮ সালে তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু হয়। স্বামীর অবৈধ আয় থেকে স্ত্রী সম্পদ অর্জন করায় দুই জনের বিরুদ্ধে পৃথক মামলা হয়েছে। এ বিষয়ে শেখ মনিরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি দৈনিক প্রতিদিনের কথাকে বলেন, ‘দুদকের অভিযোগ সত্য নয়। আমার বা আমার স্ত্রীর আয় ও সম্পদের পক্ষে প্রয়োজনীয় যথেষ্ট কাগজ পত্র রয়েছে। যা আদালতে দাখিল করা হবে। আমি দুদকের এই অভিযোগের পুনঃ তদন্ত দাবি করছি।’ দুদকের সহকারী পরিচালক মাহমুদুল হাসান বাগেরহাট সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক শেখ মনিরুল হাসান ও তার স্ত্রী শারমিন আক্তারের বিরুদ্ধে এই মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ বিষয়ে অধিদফতরের খুলনা বিভাগীয় আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক আব্দুস সালামের কাছে জানতে চাইলে তিনি দৈনিক প্রতিদিনের কথাকে বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে জ্ঞাত নই বলে।’ এদিকে বিশ্বস্থ্য সূত্রে জানা গেছে, জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে খাদ্য অধিদফতরের আরও কয়েকজন কর্মকর্তার মামলার নথি চূড়ান্ত হচ্ছে। যে সব কর্মকর্তার অনিয়ম ও দুনীর্তির বিরুদ্ধে ধারা বাহিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে তেমন কয়েকজন কর্মকর্তার নামে মামলার প্রক্রিয়া পাইপলাইনে আছে বলে সূত্র জানায়।