যশোরে ডেকে নিয়ে যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যা, আটক ৪

0
20

নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে ছুরিকাঘাতে আকাশ হোসেন (২৮) নামের এক যুবককে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে যশোর শহরের শংকরপুর বটতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহ চারজনকে আটক করা হয়েছে। নিহত আকাশ শহরের শংকরপুর বটতলা মসজিদ এলাকার তোতা মিয়ার ছেলে। প্রাথমিকভাবে আটকদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করেনি পুলিশ। এ ঘটনায় বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত মামলা করেনি ভুক্তভোগী পরিবার। তবে এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। নিহত যুবকের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাতে স্থানীয় কয়েকজন যুবক আকাশকে বাড়ি থেকে ফোনে ডেকে নিয়ে শংকরপুর বটতলা এলাকায় যান। সেখানে তাদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে আকাশকে ছুরিকাঘাত করা হয়। পরে স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহতাবস্থায় রাত দেড়টার দিকে আকাশকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের স্বজনদের দাবি, আকাশ একই এলাকার সাব্বির ও তানভীরদের সঙ্গে চলাফেরা করতেন। সম্প্রতি টিকটক পোস্টে কমেন্ট করা নিয়ে তাদের মধ্য দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। এরপর তানভীর হোয়াটসঅ্যাপে ফোন করে আকাশকে জানিয়ে দেয় আমার হাতে তোর মৃত্যু হবে। এরপর মঙ্গলবার বিকেলে সাব্বির ফোনে আকাশকে ডেকে নিয়ে যান। এরপর রাত ১টার দিকে আকাশকে বটতলা বস্তিতে নিয়ে সাব্বির, তানভীর, অনিক, ছোট আকাশ, সোহানসহ ১০/১২ জন ছুরিকাঘাতে জখম করেন। স্থানীয়রা আকাশকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সাইফুর রহমান জানান, আকাশকে রাত ১টা ৩৫ মিনিটে হাসপাতালে আনা হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। নিহতের গলায় ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ তার মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) বেলাল হোসাইন বলেন, আগের কোনো টাকা পয়সা লেনদেনের দ্বন্দ্বে আকাশকে হত্যা করা হতে পারে। আকাশ হত্যার সঙ্গে জড়িত চারজনকে আটক করা হয়েছে। আটকদের মধ্যে তিনজনকে জেলা ডিবি ও একজনকে পিবিআই আটক করেছে। সন্দেহভাজন ব্যক্তিরা নিহত যুবকের সঙ্গেই চলাফেরা করতেন। তারা বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। আটকরা আকাশ হত্যা ছাড়াও তিনটি মামলার আসামি।