তিশার বাবাকে লিগ্যাল নোটিশ

0
12

প্রতিদিনের ডেস্ক:
সিনথিয়া ইসলাম তিশা ও খন্দকার মুশতাক আহমেদ দম্পতি এবং খন্দকার মুশতাক আহমেদের পরিবারের সদস্যদের ছবি, ভিডিও নিয়ে অসত্য, মিথ্যা, ভিত্তিহীন, বানোয়াট তথ্য সোশ্যাল মিডিয়া ও গণমাধ্যমে প্রচারের অভিযোগ এনে তিশার বাবা মো. সাইফুল ইসলামকে সাত দিনের সময় দিয়ে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রেজিস্ট্রি ডাকযোগে সিনথিয়া ইসলাম তিশার বাবা মো. সাইফুল ইসলাম এবং বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে এই নোটিশ দিয়েছেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী খন্দকার হাসান শাহরিয়ার। নোটিশে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করে তা প্রত্যাহার করার পাশাপাশি আদালতে বিচারাধীন বিষয় নিয়ে তথ্য পরিবেশন থেকে সম্পূর্ণভাবে বিরত থাকার জন্য বলা হয়েছে। নোটিশে বলা হয়, সিনথিয়া ইসলাম তিশা ও খন্দকার মুশতাক আহমেদ দম্পতির স্বাভাবিক জীবনযাপন ব্যাহত করার পাশাপাশি তাদের সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করে মানহানি করা হচ্ছে, যা প্রচলিত আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। একই সঙ্গে কোনও প্রকার লিখিত অনুমতি ছাড়া খন্দকার মুশতাক আহমেদের ছেলে ও মেয়ে, প্রাক্তন স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যদের ছবি, ভিডিও নিয়ে অসত্য, মিথ্যা, ভিত্তিহীন, বানোয়াট তথ্যাদি সোশ্যাল মিডিয়া এবং ইলেকট্রনিক, প্রিন্ট ও অনলাইন গণমাধ্যমে পরিবেশন, প্রকাশ, সম্প্রচার তথা প্রচারণা করে প্রচলিত আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করা হচ্ছে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। নোটিশে আরও বলা হয়, সিনথিয়া ইসলাম তিশার বাবা মো. সাইফুল ইসলাম তার নিকটাত্মীয় আবুলের মাধ্যমে ৩০ লাখ টাকা ও ফ্ল্যাট দাবি করেন। খন্দকার মুশতাক আহমেদ সেই বিষয়ে কর্ণপাত না করায় আদালতে বিচারাধীন বিষয়ে অসত্য, মিথ্যা, ভিত্তিহীন, বানোয়াট, বিভ্রান্তিকর, মনগড়া তথ্যাদি প্রতিনিয়ত সোশ্যাল মিডিয়া এবং ইলেকট্রনিক, প্রিন্ট ও অনলাইন গণমাধ্যমে পরিবেশন করছেন, যা বিচার বিভাগকে প্রশ্নবিদ্ধ করার পাশাপাশি জনসাধারণের মনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপচেষ্টা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং ইলেকট্রনিক, প্রিন্ট ও অনলাইন গণমাধ্যমে পরিবেশিত সব ভিডিও বক্তব্য তিশা এবং মুশতাক দম্পতির কাছে সযত্নে সংরক্ষিত আছে বলেও ল্লেখ করা হয়। লিগ্যাল নোটিশে আইনজীবী খন্দকার হাসান শাহরিয়ার বলেছেন, লিগ্যাল নোটিশ প্রাপ্তির সাত দিনের মধ্যে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করে তা প্রত্যাহার করতে অনুরোধ করা হলো। পাশাপাশি বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যানকেও লিগ্যাল নোটিশ প্রাপ্তির সাত দিনের মধ্যে লিগ্যাল নোটিশে উল্লিখিত লিংকগুলো অপসারণে পদক্ষেপ নেওয়ার পাশাপাশি যারা এসব প্রচার করেছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে তিশা-মুশতাক দম্পতি সম্পর্কে আদালতে বিচারাধীন বিষয়ে মো. সাইফুল ইসলামকে অসত্য তথ্য পরিবেশন থেকে সম্পূর্ণভাবে বিরত থাকতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।