যুবককে থানায় পিটিয়ে হাসপাতালে ভর্তি, সেই এসআই ক্লোজড

0
15

প্রতিদিনের ডেস্ক:
নোয়াখালীতে এক যুবককে থানায় আটকে মারধরের পর হাসপাতালে ভর্তির ঘটনায় সেনবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সঞ্জয় সিকদারকে প্রত্যাহার (ক্লোজড) করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে তাকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে। রাত ১১টার দিকে নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মোহাম্মদ ইব্রাহীম বাংলা ট্রিবিউনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মারধরের শিকার আবদুল্লাহ আল নোমান (২২) উপজেলার কাদরা ইউনিয়নের উত্তর কাদরা গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে। বর্তমানে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।
এর আগে দুপুরে পুলিশের হাতে আটক বড় ভাইকে সেনবাগ থানায় দেখতে গিয়ে মারধরের শিকার হন। তার অভিযোগ, বড় ভাইকে কেন আটক করা হয়েছে জানতে চাওয়ায় পুলিশের এসআই সঞ্জয় সিকদার তাকে থানার একটি কক্ষে আটকে পিটিয়ে আহত করেছেন। নোমান বলেন, ‘আমি সেনবাগ বাজারে একটি দোকানে কর্মচারী হিসেবে চাকরি করি। দুপুরে সেনবাগ থানার এসআই সঞ্জয় সিকদারসহ একদল পুলিশ বিনা অপরাধে কাদরা মজুমদার বাড়ির পাশ থেকে আমার বড় ভাই শাহাদাত হোসেনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। বিষয়টি শুনে দুপুরে থানায় যাই। থানার এক কনস্টেবলের কাছে জানতে চাই কেন আমার ভাইকে আটক করা হয়েছে। তখন পাশের কক্ষে থাকা এসআই সঞ্জয় ওই কনস্টেবলকে দিয়ে আমাকে ডেকে থানার একটি কক্ষে নিয়ে যান। সেখানে দরজা বন্ধ করে আমাকে আছাড় মেরে মেঝেতে ফেলে দেন সঞ্জয়। এরপর লাথি ও এলোপাতাড়ি পিটিয়ে জখম করেন। এতে অসুস্থ হয়ে পড়লে পুলিশ সদস্যরা আমাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। বিনা অপরাধে কেন আমার ভাইকে আটক এবং আমাকে অমানবিকভাবে পিটিয়ে আহত করা হলো, তার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষী পুলিশ কর্মকর্তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।’তবে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে নোমানের সঙ্গে দেখাই হয়নি বলে দাবি করেছেন সেনবাগ থানার এসআই সঞ্জয় সিকদার। তিনি বলেন, ‘বেলা ১১টার দিকে মজুমদার বাড়ির পাশ থেকে ২০০ গ্রাম গাঁজাসহ শাহাদাত ও আবদুস সাত্তারকে আটক করেছি। এরপর নিয়ম অনুসারে তাদের থানায় আনা হয়েছে। শাহাদাতের ভাই নোমানের সঙ্গে আমার দেখা কিংবা কথাই হয়নি। আটকের সময় সে ঘটনাস্থলে ছিল কিনা তাও জানা নেই। মারধর ও হাসপাতালে ভর্তির বিষয়টি মিথ্যা। মাদকসহ আটক ভাইকে বাঁচাতে এটি নোমানের কৌশল হতে পারে। আমি কোনও অপরাধ করলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।’সেনবাগ থানার ওসি মো. নাজিম উদ্দিন প্রথমে বিষয়টি জানেন না বললেও পরে বলেন, ‘গাঁজাসহ এক যুবককে আটকের পর তার ভাই থানায় এসে ঝামেলা করেছিল। তখন তাকে হাজতে ঢোকানোর কথা বললে দৌড় দেয়। এ সময় সিঁড়িতে পড়ে ব্যথা পেয়েছে। তাকে কেউ মারধর করেনি।’