কালিয়া সংবাদদাতা
নড়াইলের কালিয়া উপজেলার নড়াগাতী থানা এলাকায় পূর্ব শত্রুতার জেরে ওয়াজ মাহফিলের প্যান্ডেল থেকে ডেকে নিয়ে মাহাবুব রহমান নিলয় মোল্লা (১৪) নামের এক মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্রকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এসময় তামিম খান নামের আরও এক কিশোর আহত হয়েছে। শুক্রবার রাত ১১টার দিকে কালিয়া উপজেলার খাশিয়াল ইউনিয়নের তালবাড়িয়া গ্রামে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। নিহত নিলয় মোল্লা কালিয়া উপজেলার টোনা গ্রামের সাবেক পুলিশ সদস্য সুলতান আহমেদ মোল্লার ছেলে। নিলয় স্থানীয় টোনা দাখিল মাদ্রাসায় দশম শ্রেনীর ছাত্র। এ ঘটনায় নিলয়ের সঙ্গে থাকা তামিম খান নামে আরেক কিশোর আহত হয়েছেন। তিনি একই গ্রামের একরাম খানের ছেলে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নিলয় ও তামিমসহ এলাকার কয়েকজন তালবাড়িয়া গ্রামে ওয়াজ শুনতে যায়।মাহফিল থেকে নিলয়কে ডেকে নিয়ে সাকিল খানসহ ২০ থেকে ২৫ জন তাকে ঘিরে মারপিট করে ও কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এসময় তামিম নামে আরেক কিশোরকে ও এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করে। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক নিলয়কে মৃত ঘোষণা করেন। আহত তামিম খান জানান, ‘আমি দোকানে বাদাম কিনতে যায়। এসময় দেখি কয়েকজন ব্যাক্তি নিলয়কে তাড়িয়ে নিয়ে এসে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ মারলে নিলয় আমার পায়ের কাছে পড়ে যায়। তখন আমি দৌড় দিলে আমাকেও কুপিয়ে আহত করে।’ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মিজবা রহমান জানান, আমরা ১০ টার দিকে তালবাড়িয়া মাহফিল যায়। ব্রাহ্মণ পাটনা গ্রামের কামরুল খানের ছেলে শাকিল খানের নেতৃত্বে ২০-২৫ জন লোক নিলয়কে ডেকে নিয়ে মারপিট করে ও দৌড় দিলে সেভেন গিয়ার দিয়ে কুপিয়ে পালিয়ে যায়। কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক পার্থ প্রতিম বিশ্বাস বলেন, হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই নিলয়ের মৃত্যু হয়েছে। এঘনায় নিহত নিলয়ের বড় বোন শারমিন আক্তার বলেন, আমার ভাইকে যারা হত্যা করেছে তাদের ফাসিঁ চাই। নড়াগাতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুস্তাফিজুর রহমান জানান, নিলয় মোল্লা নামে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে খুন করার ঘটনা জানতে পেরেছি। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ময়না তদন্ত জন্য লাশ নড়াইল সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে।