উৎপল মণ্ডল, শ্যামনগর
শ্যামনগর উপজেলায় প্রথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে দূর্ণীতির শীর্ষ থাকা এই১২২ নং গাবুরা খোলপেটুয়া সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দেলোয়ারের বিরুদ্ধে এবার তার দুই সহকর্মীদের কাছ থেকে বদলীর জন্য নেওয়া টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য গত সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারী) জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও স্থানীয় সংসদ সদস্য বরাবর অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী শিক্ষকরা।বদলির শর্তে ৪০ হাজার করে টাকা নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন গোলাম রহমান ও জ্যোতি প্রকাশ মন্ডল নামের দুই সহকারী শিক্ষক।উপজেলার ১৮৯ নং গুচ্ছগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক গোলাম রহমান লিখিত অভিযোগে জানান, তাঁকে উপজেলা সদরের যেকোনো একটি প্রতিষ্ঠানে বদলির শর্তে এই শিক্ষক নেতা দেলোয়ার ৪০ হাজার টাকা নেন। উপজেলা ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার দেবেন বলে, তাঁদের থেকে টাকা নিয়ে দীর্ঘ সময় পার হলেও পারেনি বদলী করতে । টাকা ফেরত চাইলে তাঁকে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন। অন্য জন ২ নম্বর নাগবাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক জ্যোতি প্রকাশ জানান, টাকা ফেরত না দিয়ে এখন চাকরি খেয়ে ফেলার হুমকি দিচ্ছেন দেলোয়ার। এদিকে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্র জানাযায় দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে জেলে কার্ড দেওয়ার নামে দুস্থ ও অসহায় পরিবারের কাছ থেকে টাকা আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। সে সময়ে এ খবরে একাধিক মহল থেকে তীব্র নিন্দার ঝড় উঠেছিল।এবং বিদ্যালয়ে ভুয়া শিক্ষার্থী প্রদর্শনসহ নিজে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থেকে প্যারা শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে পাঠদানের খবর ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচার হয়েছিল,সেসব অভিযোগের তদন্ত চলছে। এত কিছু হওয়ার পরেও কেন বিষয় টা নিয়ে শিক্ষা অফিসের দৃষ্ঠান্তমূলক কোন ব্যাবস্থা নিতে দেখা যায়নি এখনো এমন প্রশ্ন সুশীলসমাজের । বিষয় নিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন বাড়ি গিয়ে না পেয়ে মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও রিসিভ করেননি। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় থেকে জানানো হয়, গত বৃহস্পতিবার লিখিত অভিযোগ পেয়েছে। আগামী রবিবার লিখিত অভিযোগটি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে দেওয়া হবে।
