পিটিআই মোড়ে হচ্ছে ফুটওভার ব্রিজ

0
9

খুলনা প্রতিনিধি
খুলনা নগরীর পিটিআই মোড়ে ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি)। পাশাপাশি পিটিআই মোড়সহ নগরীর গুরুত্বপূর্ণ ২২টি মোড়ের সৌন্দর্যবর্ধন করবে সংস্থাটি। আগামী মাসে এই কাজ শুরু হবে। এতে ব্যয় হবে প্রায় ১০ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। কেসিসি থেকে জানা গেছে, খুলনা নগরীর ব্যস্ততম মোড়গুলোর মধ্যে পিটিআই অন্যতম। বর্তমানে খুলনা নগরীতে সবচেয়ে বেশি শিক্ষার্থী যাতায়াত করে ওই স্থান দিয়ে। পিটিআই মোড় সংলগ্ন আহসান আহমেদ সড়কে সেন্ট জোসেফস উচ্চ বিদ্যালয়, সরকারি করোনেশন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, শিশু বিদ্যালয়, সিটি ল’ কলেজ এবং দুই ডজন কোচিং সেন্টার রয়েছে। এর পাশেই রয়েছে সরকারি পাইওনিয়ার বালিকা মহাবিদ্যালয় ও আযমখান সরকারি কমার্স কলেজ। এছাড়া খানজাহান আলী সড়কে হামিদ আলী বালিকা বিদ্যালয়সহ এক ডজন ব্যাচ রয়েছে। এসব কারণে মোড়টি দিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার শিক্ষার্থী যাতায়াত করে। বিভিন্ন সময় ওই মোড়ে একটি ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানান অভিভাবকরা। এছাড়া খুলনার সড়কগুলো প্রশস্ত ও গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোর সৌন্দর্যবর্ধনের দাবি জানান খুলনার নাগরিক নেতারা। সিটি মেয়র তালুকদার আবদুল খালেকও নির্বাচনের আগে নগরীর সৌন্দর্যবর্ধনের পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। সে অনুযায়ী ‘খুলনা সিটি করপোরেশনের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা উন্নয়ন ও পুনর্বাসন’ প্রকল্পের আওতায় পিটিআই মোড়সহ নগরীর গুরুত্বপূর্ণ ২২টি মোড়ের উন্নয়ন ও সৌন্দর্যবর্ধনের প্যাকেজটি অর্ন্তভুক্ত করা হয়। মোড়গুলো হচ্ছে বঙ্গবন্ধু চত্বর (ময়লাপোতা মোড়), সোনাডাঙ্গা থানার মোড়, খুলনা মেডিকেল কলেজের সামনে, বয়রা বাজার মোড়, বয়রা মহিলা কলেজ মোড়, শিববাড়ি মোড়, বৈকালী মোড়, গোয়ালখালী মোড়, নতুন রাস্তার মোড়, দৌলতপুর মহসিন মোড়, রয়েল মোড়, পিটিআই মোড়, টুটপাড়া কবরখানা মোড়, শান্তিধাম মোড়, পাওয়ার হাউজ মোড়, জোড়াগেট মোড়, নূর অপটিক্যাল মোড়, কেসিসি সুপার মার্কেট মোড়, কোর্ট মোড়, সদর থানার মোড়, পিকচার প্যালেস মোড় ও ডাকবাংলো মোড়। কেসিসির প্রধান প্রকৌশলী মশিউজ্জামান খান জানান, যানবাহনের চাপ ও আশপাশের অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে মোড়গুলোর নকশা প্রণয়নের জন্য খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে আর্কিটেকচার ডিসিপ্লিনের ‘রিসার্চ অ্যান্ড ডিজাইন কনসালটেন্সি ইউনিট (আরডিসিইউ)’কে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তারা গতবছর নকশা জমা দেয়। কেসিসির সভায় এটি অনুমোদনের পর দরপত্র প্রক্রিয়া শুরু হয়। চলতি মাসেই ঠিকাদারকে কার্যাদেশ দেওয়া হবে। আগামী মাস থেকে কাজ শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী খুলনাকে পরিচ্ছন্ন ও নান্দনিক শহর হিসেবে গড়ে তুলতে চেষ্টা করছি। গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলো আধুনিকায়ন হলে নগরীর সৌন্দর্য বাড়বে, পাশাপাশি শহরের যানজট নিরসনে সহায়ক হবে।