প্রতিদিনের ডেস্ক
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার ৬নং জয়পুর ইউনিয়ন পরিষদের চারটি কক্ষ দখল করে গত দুই বছর যাবত বসবাস করছেন বর্তমান চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম সুমন।জানা গেছে, সাইফুল ইসলাম সুমন ২০২১ সালের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিন হন। সেই থেকেই তিনি পরিষদের চারটি কক্ষ দখল করে পরিবারসহ সেখানেই বসবাস করছেন।
সুমন চেয়ারম্যানের স্ত্রী বলেন, নির্বাচনের পর থেকে আমরা পরিবারের ৭ জন সদস্যসহ এখানে বসবাস করি। জনগণ যাতে সবসময় চেয়ারম্যানকে কাছে পায় এবং চেয়ারম্যান যেন দ্রুত জনগণকে সেবা দিতে পারে সেজন্যই ইউনিয়ন পরিষদে থাকা।জয়পুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শামসুল হক বলেন, সুমন চেয়ারম্যান দুই বছর ধরে বউ-বাচ্চা নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে থাকেন। পরিষদে অনেক রুম। বউ-বাচ্চা নিয়ে চেয়ারম্যান থাকলে অসুবিধা কোথায়?
আড়িয়ারা গ্রামের সাকের খন্দকার বলেন, আমার ৭০-৭৫ বছর বয়সে কনোদিন দেখিনি চেয়ারম্যান বউ বাচ্চাসহ ইউনিয়ন পরিষদে থাকে। এবার দেখছি এই চেয়ারম্যানকে পরিবারসহ ইউনিয়ন পরিষদে বসবাস করতে।
জয়পুর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মো. রাসেল বলেন, আমাদের দোতলায় চারটি কক্ষ আছে। ওইগুলো কৃষি অফিস, মৎস্য অফিস, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়, সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও স্থানীয় সরকার বিভাগ একটা একটা করে রুম পাবে। যারা আগে আসবে তারা আগে রুম পাবে।
চেয়ারম্যান কীভাবে এই রুমগুলো দখল করে পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি সচিব মো. রাসেল বলেন, এ ব্যাপারে চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলেন।
ইউনিয়ন পরিষদের দোতলা দখল করে বসতি গড়ে তোলার বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম সুমন বলেন, আমি চার রুম নিয়ে থাকি না। আমার জন্য সরকারিভাবে দুটি রুম বরাদ্দ আছে, সেই দুইরুম নিয়ে থাকি। বাকি দুই রুমের একটা সার্ভার রুম আরেকটা বিট পুলিশ রুম।
জয়পুর ইউনিয়নের দায়িত্বে থাকা বিট পুলিশ অফিসার উপ-পরিদর্শক (এসআই) তৌফিক আহমেদ টিপু বলেন, আমি এই ইউনিয়নে নতুন এসেছি। আমাদের জন্য একটা রুম আছে গ্রাম পুলিশ বলেছে। কিন্তু কোনটা আছে সেটা আমার জানা নেই।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশফাকুল হক চৌধুরী বলেন, এভাবে ইউনিয়ন পরিষদে থাকার কোনো নিয়ম নেই। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে চেয়ারম্যানকে ইউনিয়ন পরিষদ ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
