২৪শে আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ  । ৮ই জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ 

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় আধিপত্য বিস্তারে কাজ করছে চীনা প্রযুক্তি জায়ান্টরা

প্রতিদিনের ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্র-চীন প্রযুক্তির প্রতিযোগিতা তীব্র হচ্ছে। এর মধ্যে টেনসেন্ট হোল্ডিংস ও কুয়াইশো টেকনোলজির মতো চীনা টেক জায়ান্টরা লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল (এলএলএম) ব্যবহার বাড়াচ্ছে। মূলত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তিতে দ্রুত এগিয়ে যাওয়ার জন্য বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে কোম্পানিগুলো। খবর টেকটাইমস।
২০২২ সালে ওপেনএআইয়ের চ্যাটজিপিটি চালু হওয়ার পর থেকে চীনা আইটি ব্যবসাগুলো এআই প্রযুক্তিতে এগিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। সম্প্রতি আয় প্রতিবেদন প্রকাশের সময় চীনের প্রধান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর নির্বাহীরা প্রযুক্তির ক্ষেত্রে সাম্প্রতিক সাফল্য ও প্রতিবন্ধকতা নিয়ে আলোচনা করেন।
সম্প্রতি কুয়াইশোর প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও চেং ইশিয়াও তাদের কোয়াইয়ি লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল তৈরির ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি জানান, পারফরম্যান্সের ক্ষেত্রে কোয়াইয়ি চ্যাটজিপিটি-৩.৫ কে ছাড়িয়ে গেছে এবং বেশকিছু ক্ষেত্রে জিপিটি-৪ থেকেও এগিয়ে আছে।
তিনি আশা করছেন, তাদের এআই প্রযুক্তি কোয়াইয়ি আগামী ছয় মাসের মধ্যে চ্যাটজিপিটি-৪ মডেলকেও চ্যালেঞ্জ করতে পারবে। এছাড়া তাদের কেটু টেক্সট-টু-ইমেজ এআই মডেলটি এআই ইমেজ তৈরির ক্ষেত্রে মিডজার্নি ভি ফাইভকে ছাড়িয়ে গেছে।
অন্যদিকে টেনসেন্টের হুনইউয়ান লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেলটি বিশ্বব্যাপী প্রশংসা পেয়েছে। টেনসেন্টের প্রেসিডেন্ট মার্টিন লাউ চি-পিং তাদের প্রতিষ্ঠানের মূল লক্ষ্য হিসেবে আপাতত এআই মডেল ব্যবহার করে টেক্সটভিত্তিক ছবি ও ভিডিও জেনারেশনের এআই প্রযুক্তি উন্নয়নে প্রতিষ্ঠানটির মনোযোগের কথা তুলে ধরেন। টেনসেন্ট ছবি থেকে ভিডিও তৈরির এআই প্রোগ্রামও চালু করেছে, যা টেক্সট প্রম্পট বা ইনপুট ব্যবহার করে ছবিতে মোশন যুক্ত করতে পারে।
টেনসেন্ট ও কুয়াইশো বর্তমানে সর্বাধুনিক এআই প্রযুক্তি ব্যবহারের উপায় নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছে। কুয়াইশোর প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও চেং ইশিয়াও বলেন, ‘‌কুয়াইশো এমন একটি জেনারেটিভ এআই মডেল তৈরি করতে চায়, যার মাধ্যমে কনটেন্ট তৈরি ও ভিডিওর মান উন্নত করাসহ উৎপাদনশীলতা বাড়ানো যায়।’
সাবেক মার্কিন সিনেটর অ্যামি ক্লোবুচারের চিফ অব স্টাফ ডগ ক্যালিডাস, যিনি বর্তমানে হার্ভার্ড বেলফার সেন্টারে মার্কিন-চীন প্রযুক্তি প্রতিযোগিতা কীভাবে আমেরিকান প্রযুক্তি, রাজনীতি ও পররাষ্ট্র নীতিকে প্রভাবিত করে তা নিয়ে অধ্যয়ন করছেন।
ফক্স বিজনেসের এক প্রতিবেদন ডগ ক্যালিডাস জানান, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে চলমান প্রযুক্তি প্রতিযোগিতায় যুক্তরাষ্ট্র আগ্রাসীভাবে নিজেদের প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগ বাড়িয়েছে, পাশাপাশি চীনের এআই অগ্রগতিকে থামাতে সর্বাধুনিক হার্ডওয়্যার অ্যাকসেস সীমাবদ্ধ করছে। তবে চীন এআই মডেলগুলোকে প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে তাদের প্রাইভেসি আইন থেকে উপকৃত হচ্ছে। এআই খাতে মার্কিন বড় বিনিয়োগ থাকা সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্র সাম্প্রতিক সময়ে কিছুটা অসামঞ্জস্যের মুখোমুখি হয়েছে, কিন্তু স্থানীয়ভাবে সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদন বাড়াতে ২০২২ সালের চিপ ও সাইন্স অ্যাক্টটি বেশ সহায়তা করবে বলে আশা করছে ডগ ক্যালিডাস।

আরো দেখুন

Advertisment

জনপ্রিয়