বিএনপি সংকট : রাজনীতিরও সংকট

0
11

মোনায়েম সরকার
ঈদ ও নববর্ষের কারণে দেশের মানুষের মধ্যে চলছে উৎসবের আমেজ। লম্বা ছুটি পেয়ে মানুষ কেউ গেছেন গ্রামের বাড়ি, কেউ কক্সবাজার কিংবা অন্য কোথাও। দেশের বাইরে গিয়েছেন, এমন মানুষের সংখাও কম নয়। এবার নাকি ভারতে ভ্রমণে গিয়েছেন সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষ। ঈদের কেনাকাটার জন্য কলকাতায় বাংলাদেশি মানুষের ভিড় বেশি ছিল বলে সংবাদপত্রে খরব বেরিয়েছে। বিএনপিসহ কিছু রাজনৈতিক দল ভারত বর্জনের ডাক দেওয়ায় মনে হয়েছিল ভারতীয় ভিসার জন্য লাইন নিশ্চয়ই দীর্ঘ হবে না। কিন্তু বাস্তবে হয়েছে উল্টোটা।
রাজনীতিতে বাহ্যত তেমন কোনো উত্তাপ-উত্তেজনা নেই। বিএনপি সরকার পতনের খোয়াব দেখেই চলেছে। আওয়ামী লীগ স্থানীয় সরকার নির্বাচনে নিজেদের অবস্থান আরও সংহত করার দিকে মনোযোগ দিয়েছে। বিএনপি উপজেলা নির্বাচন থেকেও দূরে থাকার সিদ্ধান্তে এখনো অটল। তবে কোথাও কোথাও সিদ্ধান্ত অমান্যের লক্ষণও আছে। বিএনপির ঘনিষ্ঠ মিত্র জামায়াতে ইসলামী উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। আবার গত কিছু দিন ধরে গণমাধ্যমে বিএনপির ভেতরের নানা ধরনের অস্থিরতার খবর প্রকাশ হতে দেখা যাচ্ছে।
আওয়ামী লীগের ভেতরেও সমস্যা আছে, তার কিছু কিছু গণমাধ্যমও আসছে। তবে আওয়ামী লীগের সমস্যা ক্ষমতায় টানা কয়েক মেয়াদে থাকার কারণে তৈরি হয়েছে। আর বিএনপির সমস্যা দীর্ঘ সময় ক্ষমতার বাইরে থাকায় সৃষ্ট। বার বার আন্দোলনে ব্যর্থ হওয়ায় অন্যতম বৃহৎ দল বিএনপির কর্মীদের মধ্যে যেমন হতাশা আছে, তেমনি নীতিনির্ধারকসহ জ্যেষ্ঠ নেতাদের মধ্যেও রয়েছে মতভিন্নতা ও অস্বস্তি। বিএনপির জনসমর্থন থাকলেও তাকে কাজে লাগানোর রাজনৈতিক পরিপক্কতার অভাবে ধুকছে দলটি।
সংসদ বাতিল ও একদফা দাবিতে কর্মসূচি অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নিলেও বিএনপিতে বর্তমানে বড় আন্দোলন করার মতো পরিস্থিতি নেই বলে অনেকের অভিমত। এমন পরিস্থিতিতে অভিমান এবং শারীরিক অসুস্থতার কারণে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলীয় পদে থাকতে চান না বলেও বিএনপিতে আলোচনা রয়েছে,পত্রিকায় এ নিয়ে খবরও প্রকাশিত হচ্ছে। মির্জা ফখরুল পদ ছাড়তে চান- এই খবরে মহাসচিব পদ পাওয়ার জন্য যারা উদগ্রীব তারা পেখম তুলে নাচছেন। তবে দলটির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীদের মতে, সারা দেশের নেতাকর্মী ছাড়াও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে গ্রহণযোগ্যতা বিবেচনায় এই মুহূর্তে বিএনপি মহাসচিব হিসেবে মির্জা ফখরুলের চেয়ে ভালো বিকল্প আছে বলে মনে হচ্ছে না। দলীয় চেয়ারপারসনও তাকে অন্য চিন্তাভাবনা ছেড়ে কাজ চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বলে ফখরুলের ঘনিষ্ঠজনদের দাবি। এ ছাড়া দীর্ঘদিন কাউন্সিল না হওয়া, কেন্দ্রীয় কমিটি না হওয়া এবং জেলা কমিটিগুলো হালনাগাদ হয়নি। সেইসঙ্গে তরুণ নেতাদের প্রভাব বিস্তারসহ নানা কারণে দলের ভেতরে এক ধরনের অস্থিরতা তৈরি হয়েছে।
অবশ্য দীর্ঘদিন ধরে খালেদা জিয়া কারাবন্দি থাকা এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিদেশে থাকায় দলের ভেতরে নেতৃত্বের আধিপত্য বজায় রাখা নিয়ে কয়েকটি বলয় তৈরি হয়েছে। এসব বলয়ের পক্ষ থেকেও মির্জা ফখরুলকে নানাভাবে চাপ দেওয়া হয় বলে বাজারে কথা আছে।
খালেদা জিয়া শারীরিক অসুস্থতা ও আইনি বাধ্যবাধকতায় বর্তমানে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে দূরে রয়েছেন। সাধারণত দলীয় কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেন না তিনি। অন্যদিকে তারেক রহমান প্রবাসে রয়েছেন। এমন অবস্থায় সরকারের পদত্যাগের একদফা দাবিতে আন্দোলনে নামে বিএনপি। লন্ডন থেকে তারেক রহমানের নির্দেশনায় আন্দোলন চলতে থাকে। আর দেশে আন্দোলন সরাসরি তত্ত্বাবধান করেন মির্জা ফখরুল। একদফার আন্দোলনের অংশ হিসেবে গত বছর ২৮ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশ ডেকেছিল বিএনপি। কিছু উচ্ছৃঙ্খল কর্মীর বিভিন্ন স্থানে আক্রমণের কারণে পুলিশি অ্যাকশনে সমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়। পণ্ড হওয়া সমাবেশ থেকেই পরদিন সারা দেশে হরতালের ডাক দেন মির্জা ফখরুল। ২৯ অক্টোবর সেই হরতালের সকালে গুলশানের বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর ১৫ ফেব্রæয়ারি জামিনে কারামুক্ত হন তিনি।
নেতাকর্মীদের বড় অংশ রাজপথে না নামায় আন্দোলন চূড়ান্ত লক্ষ্যে পৌঁছায়নি। এজন্য দলের একটি অংশের অভিমত, চেয়ারপারসন অসুস্থ ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান প্রবাসে থাকায় দেশে আন্দোলন পরিচালনার পুরো দায়িত্ব ছিল মহাসচিবের। তিনি নেতাকর্মীদের মাঠে নামাতে পারেননি। ফখরুলের ঘনিষ্ঠজনদের দাবি, দলে একটি বড় বলয়ের মধ্যে এ ধরনের আলোচনা বিএনপি মহাসচিবের মানসিক পীড়নের কারণ হয়েছে।
কারামুক্তির পর ১৯ ফেব্রুয়ারি গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় গিয়ে খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বিএনপি মহাসচিব। জানা যায়,তখন মহাসচিব পদে আর থাকতে না চাওয়ার কথা খালেদা জিয়াকে জানান মির্জা ফখরুল। এজন্য নিজের শারীরিক অসুস্থতার বিষয়টি তুলে ধরার পাশাপাশি বিগত আন্দোলনে ব্যর্থতার দায় নিজের কাঁধে নেন তিনি। তবে পদত্যাগের চিন্তা বাদ দিয়ে মির্জা ফখরুলকে কাজ চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশনা দিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, অসুস্থ থাকলে বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা করান, স্ত্রীকেও চিকিৎসা করান। ছুটি নেন, যতদিন লাগে, ততদিন বিশ্রাম নেন। আমি (বেগম জিয়া) জেলে, তারেক রহমান দেশের বাইরে। দলের এই অবস্থা। এখন অন্য কোনোকিছু চিন্তা করার দরকার নেই।
২০১৮ সালের নির্বাচনের পরও বিএসএমএমইউ হাসপাতালে গিয়ে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে মহাসচিবের পদ থেকে সরে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন মির্জা ফখরুল। তখনো নির্বাচনের ফলে ব্যর্থতার দায় নিজের কাঁধে নিয়েছিলেন তিনি। দলের প্রধান তখন বলেছিলেন, আপনাকে কে দায়ী করেছে, আমি, তারেক রহমান না দলের নেতাকর্মীরা? কারও কোনো কথায় কান দেবেন না, কাজ চালিয়ে যান।
মির্জা ফখরুল আর পদে থাকতে চান না- বিএনপির রাজনীতিতে যখন এমন আলোচনা চলছে, তখন দলের একটি অংশ উৎসাহিত হয়েছে বলেও শোনা যায়। দলের মহাসচিব হওয়ার প্রশ্নে পাঁচজনের নাম আলোচনায় রয়েছে। তারা হলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমেদ এবং সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
জাতীয়তাবাদী যুবদলের মধ্য দিয়ে বিএনপির রাজনীতিতে উত্থান মির্জা আব্বাসের। তিনি বিএনপির প্রধান এই অঙ্গ সংগঠনটির সভাপতি হন। অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের মেয়র এবং একাধিক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। ঢাকায় বিএনপির রাজনীতিতে মির্জা আব্বাসের প্রয়োজনীয়তা এখনো অপরিসীম। আব্বাসের অনুসারীরা তাকে মহাসচিব হিসেবে চান। গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ও উঠে আসেন যুবদলের রাজনীতি দিয়ে। তিনি খালেদা জিয়ার সরকারের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। বিএনপির রাজনীতিতে একটা আলোচনা আছে, যতই দক্ষ-বিচক্ষণ এবং দল ও নেতৃত্বের প্রতি অনুগত হোক না কেন, তাকে মহাসচিব করা হবে না। তবে বছরের অধিককালব্যাপী চলা বিগত আন্দোলনে ব্যর্থতার পরে ঘুরে দাঁড়াতে নানামুখী চিন্তাভাবনা করছে বিএনপি। দীর্ঘদিন পর এবার হিন্দু সম্প্রদায়ের একজনকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সভাপতি করা হয়েছে। বিষয়টিকে কাকতালীয় বলতে নারাজ অনেকেই। পার্শ্ববর্তী দেশের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের পদক্ষেপ হিসেবে এবার গয়েশ্বরকে মহাসচিব করে দল নতুন চমক দেখাতে পারে বলে তার অনুসারীদের দাবি। সফল ব্যবসায়ী আমীর খসরু বিএনপি থেকে এমপি এবং খালেদা জিয়ার সরকারের মন্ত্রী ছিলেন। বিএনপির আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক কমিটির প্রধানও তিনি। কূটনৈতিক অঙ্গনে সুপরিচিত আমীর খসরু মহাসচিব পদে জোরালো প্রতিদ্ব›দ্বী। ভারতের মেঘালয়ে অবস্থানরত সালাহউদ্দিন আহমেদ এখন দলের হাইকমান্ডের অত্যন্ত প্রিয়পাত্র। সালাহউদ্দিনের অনুসারীরা চান, তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে মহাসচিবের দায়িত্ব দেওয়া হোক।
ছাত্ররাজনীতি থেকে উঠে আসা রুহুল কবির রিজভী রাকসুর সাবেক ভিপি। তার সম্পর্কে কারো কারো মূল্যায়ন, ‘বড় কোনো বিতর্ক ছাড়া দলের দপ্তরের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গা বেশ ভালোভাবে পরিচালনা করছেন। সবচেয়ে বড় কথা, দলের চেয়ারপারসন ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের প্রতি তার অঙ্গীকার ও দায়বদ্ধতা তাকে সবসময় এগিয়ে রাখবে।’ মির্জা ফখরুল সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব থেকে দলের মহাসচিব হওয়ায় বিএনপিতে রিজভীকেও মহাসচিব করার দাবি জোরালো হচ্ছে।
শারীরিক অসুস্থতা এবং বয়স বিবেচনায় (তার বয়স এখন ৭৮) মির্জা ফখরুলের পরিবারের লোকজন চাচ্ছেন না যে, এই বয়সে তিনি আর মহাসচিব পদে দায়িত্ব পালন করুন। কারাগারে থাকা অবস্থায় তার ৬ কেজি ওজন কমেছে। তবে পারিবারিক আপত্তি সত্তে¡ও খালেদা জিয়ার নির্দেশনা এবং দেশ, দল ও নেতাকর্মীদের স্বার্থে যতদিন সম্ভব দায়িত্ব চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মির্জা ফখরুল। সম্প্রতি মির্জা ফখরুল নিজেই বলেছেন, তিনি রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। তিনি রাজনীতিতে ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু গণমাধ্যমকে বলেছেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে নিয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে নানা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। এটি সরকারের একটি অপকৌশলও বলা যায়। একটি বড় দলের মহাসচিব হিসেবে উনি ১৫ বছর ধরে নানাভাবে নির্যাতিত হয়েছেন। তার বিষয়টি বিতর্কিত করা উচিত নয়। তিনি রাজনীতি করবেন কী করবেন না, সেটি তিনি নিজেই দলকে বলবেন, জনসম্মুখে বলবেন। কয়েকদিন আগেও তার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তিনি রাজনীতি করবেন না- এমন কোনো কথা বলেননি। বরং এই ধরনের অপপ্রচারে তিনি বিস্মিতই হয়েছেন।
দলের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, সরকার বিএনপিকে ভেঙে এবং লোক বাগিয়ে নিয়ে নির্বাচন করতে ব্যর্থ হওয়ায় নিজেদের সেই ব্যর্থতা আড়াল করার জন্য অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে বিএনপির নেতৃত্ব সম্পর্কে প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে। এটা করে তারা বিএনপির নেতাকর্মী-সমর্থকসহ জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করতে চায়। তিনি আরও বলেন, পুনর্গঠন, নেতৃত্বের পরিবর্তন, সংযোজন, বিয়োজন- এগুলো চলমান প্রক্রিয়া। এখন বিএনপি মহাসচিব পদ থেকে অব্যাহতি নেওয়ার কোনো চিন্তাভাবনা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নিজের কিংবা দলের আছে বলে জানা নেই।
বিএনপির সামনে বড় সমস্যা রাজনৈতিকভাবে ঘুরে দাঁড়ানো। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর ঘুরে দাঁড়াতে নানা কর্মকৌশল নিয়ে দলের উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা করছে বিএনপি। কিন্তু নতুন পথচলার শুরুটা কীভাবে হবে সেই সিদ্ধান্তে এখনো পৌঁছাতে পারেননি দলের নীতিনির্ধারকরা।
দলের স্থায়ী কমিটির সর্বশেষ কয়েকটি বৈঠকে জাতীয় কাউন্সিলের মাধ্যমে দল এবং কূটনৈতিক তৎপরতার লক্ষ্য ঠিক করতে আলোচনা হয়েছে। দলের নীতিনির্ধারকরা বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দিলেও এখনো পরিকল্পনা চূড়ান্ত হয়নি। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘একটি বড় আন্দোলনের পর এর মূল্যায়ন ও ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ সময়সাপেক্ষ বিষয়। তা ছাড়া জ্যেষ্ঠ নেতারা কারাগার থেকে মুক্ত হয়েছেন মাত্র। ফলে সবার উপস্থিতিতে সেভাবে আলোচনার সুযোগ এত দিন ছিল না।’
গত ২০ মার্চ ভারতীয় পণ্য বর্জন আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী। সামাজিক এই আন্দোলনে বিএনপির যুক্ত হওয়া ঠিক হবে কি না তা নিয়ে স্থায়ী কমিটির সদস্যরা প্রশ্ন তুললেও দলটি এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের অবস্থান জানায়নি। এ বিষয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় দলে এক ধরনের বিভ্রান্তি আছে।
একটি দায়িত্বশীল বিরোধী দলের ভূমিকা পালনের জন্য বিএনপি রাজনৈতিক অবস্থান ও কৌশলে ইতিবাচক পরিবর্তন না আনতে পারলে সেটা শুধু বিএনপির একটি সাংগঠনিক সমস্যা হয়েই থাকবে না, সেটা দেশের সামগ্রিক রাজনীতির জন্যই বড় সমস্যা হয়ে দেখা দিতে পারে
লেখক : রাজনীতিক, লেখক ও চেয়ারম্যান, বিএফডিআর।