খতনা করতে গিয়ে শিশুর মৃত্যু: জামিন পেলেন চিকিৎসক

0
8

প্রতিদিনের ডেস্ক:
রাজধানীর এক বেসরকারি হাসপাতালে খতনা করার সময় আহনাফ তাহমিদ নামের এক শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় করা মামলায় চিকিৎসক এস এম মোক্তাদির হোসেন জামিন পেয়েছেন। ওই চিকিৎসকের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ফলে তার কারামুক্তিতে বাধা নেই।জামিন চেয়ে ওই চিকিৎসকের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি মো. ইকবাল কবির ও মো. আখতারুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদেশের বিষয়টি বুধবার (১৭ এপ্রিল) নিশ্চিত করেন তার আইনজীবী।আদালতে চিকিৎসক মোক্তাদিরের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মনিরুল ইসলাম।হাইকোর্টে ওই মামলায় পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল করা পর্যন্ত হাসপাতালটির পরিচালক ও চিকিৎসক এস এম মোক্তাদির হোসেনকে আদালত জামিন দিয়েছেন বলে জানান তার আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক। তিনি বলেন, প্রায় দুই মাস তিনি কারাগারে আছেন। তিনি ওই অস্ত্রোপচার টিমে ছিলেন না। মামলায় অবহেলার কথা বললেও তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ নেই। সব যুক্তিতে জামিন চাওয়া হয়। জামিন মঞ্জুর হওয়ায় তার কারামুক্তিতে বাধা নেই।গত ২০ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর মালিবাগ চৌধুরীপাড়ার জে এস ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড মেডিকেল চেকআপ সেন্টারে (জে এস হাসপাতাল) শিশুমৃত্যুর ঘটনা ঘটে। শিশুটির স্বজন ও পুলিশ সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, সেদিন সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে ফখরুল আলম ও তার স্ত্রী খায়রুন নাহার তাদের বড় সন্তান তাহমিদকে খতনা করাতে জে এস হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসকরা শিশুটিকে অস্ত্রোপচারকক্ষে নিয়ে অ্যানেসথেসিয়া করে তার খতনা করেন। কিন্তু শিশুটির আর জ্ঞান ফিরে আসেনি। পরে রাত ১১টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। শিশুটি মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়তো।এ ঘটনায় চিকিৎসকের অবহেলায় সন্তানের মৃত্যু হয়েছে, এমন অভিযোগে শিশুটির বাবা ওই রাতে চিকিৎসক মোক্তাদির ও অ্যানেসথেটিস্ট মাহবুব হোসেনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলার পরপরই মোক্তাদির হোসেনসহ দুই চিকিৎসককে গ্রেফতার করে পুলিশ।গত ২১ ফেব্রুয়ারি তাদের আদালতে হাজির করা হয়। সেদিন আদালত দুই চিকিৎসককে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন নাকচ করেন। একই সঙ্গে তাদের দুই দিন জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেওয়া হয়। ওই মামলায় নিম্ন আদালতে জামিন চেয়ে বিফল হওয়ার পর হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন মোক্তাদির।