ফ্যাটি লিভার প্রতিরোধে কোন কোন খাবার এড়িয়ে চলবেন?

0
7

প্রতিদিনের ডেস্ক:
আমরা যা খাই সব পরিপাক হওয়ার পর রক্তের মাধ্যমে বিপাকের জন্য লিভারে যায়। যকৃৎ খাবারকে প্রক্রিয়াজাত করে এবং সেগুলোকে পুষ্টিতে পরিণত করে। বাড়তি পুষ্টি উপাদানগুলো গ্লুকোজ আকারে সঞ্চিত করে রাখাও লিভারের অন্যতম কাজ। কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটি অব সার্জারি বিভাগ বলছে, লিভার শরীরের রক্ত ​​সরবরাহ থেকে বিষাক্ত পদার্থ অপসারণ করে, রক্তে শর্করার মাত্রা বজায় রাখে এবং রক্ত জমাট বাঁধা নিয়ন্ত্রণ করে। আমেরিকান লিভার ফাউন্ডেশনের মতে, যকৃৎ অবিশ্বাস্যভাবে কঠোর পরিশ্রমী অঙ্গ যা ৫০০টিরও বেশি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে। লিভারের চেয়ে শুধুমাত্র মস্তিষ্কের কাজ বেশি।গুরুত্বপূর্ণ এই অঙ্গটির ব্যাপারে আমরা কতটুকু সচেতন? আমরা অনেক সময় এমন কিছু খাবারে অভ্যস্ত হয়ে যাই যা যকৃতের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। যেমন অতিরিক্ত শর্করা, ভাজা খাবার, অ্যালকোহল, প্রক্রিয়াজাত মাংস ইত্যাদি লিভারের জন্য ভালো নয়। এগুলো অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি বাড়ে। ভারতীয় আয়ুর্বেদ লাইফস্টাইল বিশেষজ্ঞ নমিতা চন্দ্র পিপারাইয়ার মতে, আমরা একবার খাবার খাওয়ার পর, আমাদের অন্ত্র গ্লুকোজের অণুগুলোকে রক্তে স্থানান্তর করে যা সারা শরীরে শক্তির জন্য ছড়িয়ে পড়ে। লিভার অতিরিক্ত চিনিকে ট্রাইগ্লিসারাইডে (এক ধরনের চর্বি) রূপান্তরিত করে যা চর্বি কোষে যায়। চিনিযুক্ত পানীয় গ্রহণ বৃদ্ধির কারণে লিভারের উপর চাপ সৃষ্টি হয়। এতে চর্বি জমা শুরু হয়। ধীরে ধীরে আপনি নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। গ্লুকোজও ফ্যাটি লিভারের কারণ হতে পারে। উচ্চ প্রক্রিয়াজাত খাবার, বিশেষ করে মিষ্টিজাতীয় পানীয়তে পাওয়া যায় ফ্রুক্টোজ। ফ্রুক্টোজ মূলত লিভারে প্রক্রিয়াজাত করা হয় এবং এটি দ্রুত চর্বি জমিয়ে দেয় লিভারে। অন্ত্র লিভারকে ফ্রুক্টোজ থেকে রক্ষা করার চেষ্টা করে কিন্তু অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে শেষমেশ ব্যর্থ হয়। এতে অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়ায় ভারসাম্যহীনতা তৈরি হয়। ফলেও ফ্রুক্টোজ আছে, তবে এগুলো খাওয়া তুলনামূলক ঝুঁকিহীন। কারণ উচ্চ আঁশযুক্ত হয় ফল। কিন্তু ফলও অতিরিক্ত খাওয়া ঠিক নয়। বিশেষ করে লিচু, তরমুজ, আম ইত্যাদির মতো মিষ্টি ফল পরিমিত পরিমাণে খাওয়া জরুরি।ফ্যাটি লিভার প্রতিরোধে কোন কোন খাবার এড়িয়ে চলা জরুরি একনজরে দেখে নিন- প্রচুর পরিমাণে অ্যালকোহল পান করলে লিভারে চর্বি জমতে পারে। মিছরি, কুকিজ, সোডা এবং ফলের রসের মতো চিনিযুক্ত খাবার খাবেন না। ভাজা খাবার চর্বি এবং ক্যালরির পরিমাণ বাড়াতে পারে, যা ফ্যাটি লিভার রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। লবণযুক্ত খাবার পরিমিত খাওয়া উচিত। উচ্চ সোডিয়াম গ্রহণ লিভারের রোগের কারণ হতে পারে।প্রক্রিয়াজাত সাদা ময়দা যেমন রুটি এবং পাস্তা থেকে তৈরি আইটেম না খেলেই ভালো করবেন।প্রক্রিয়াজাত মাংসে স্যাচুরেটেড ফ্যাট বেশি থাকে। এগুলো তাই এড়িয়ে চলুন।