তীব্র তাপে জীবন জ্বললেও বসে নেই নদীর পাড়ের জেলেরা

0
14

উৎপল মণ্ডল, শ্যামনগর
উপকূল অঞ্চলের তীব্র তাপমাত্রা বাড়ায় স্বভাবিক জনজীবন বিপযস্ত হয়ে পড়েছে।তবুও বসে থাকার উপায় নেই নিম্ন মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষের সাধারনত উপজেলার বেশিভাগ এলাকায় মিষ্টি পানির সংরক্ষণের আধার থাকলেও নোনাপানি বেষ্টনী হাওয়ায় উপকূলে স্বাভাবিকির তুলনায় তাপ মাত্রা অনেক বেশি। জলবায়ু প্রভাব,নদী ভাঙন, অপরিকল্পিত গৃহায়ণ সাথে বেশকিছু মেগাপ্রক্ল্পের কারনে প্রতিনিয়ত কোন না কোন ভাবে গাছ কাটা পড়ে।যার ফলে উষ্ণ আবহাওয়ার কারণে দিনদিন তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২১ এপ্রিল (রবিবার) উপজেলার বুড়িগোয়ালীনি ইউনিয়ন,গাবুরার বেশ কিছু এলাকা ঘুরে দেখা যায়,অসহনীয় গরমে সাধারণ মানুষের উপস্থিতি বাহিরে তেমন দেখা যায়নি।তবে নিম্নআয়ের সাধারণ জেলেদের মাছ ধরতে দেখা যায়।বুড়িগোয়ালীনির নীলডুমুর বাজারে আব্দুল হাকিম (৪০) কাছে জানতে তিনি বলেন,”রদি আমাগো কি করবে যা পাড়ে পড়ুক গাঙে না গেলে খাবো কি”নোনাপানি মাথার উপর রোদে মাছ ধরার দৃশ্য নীলডুমুর,দাতীনাখালী এলাকায়ও একই চিত্র দেখা যায়। এছাড়া তিব্র তাপে উপকূল অঞ্চলে মৎস্য ঘেরের মাছ মরে যাচ্ছে বলে জানান,পোড়াকাটলার প্লাবন বিশ্বাস।আর কয়দিন এভাবে থাকলে মাথায় হাত দেওয়া ছাড়া উপায় থাকবে না জানান তিনি।দ্বীপ ইউনিয়ন গাবুরার সাইফুল ইসলাম (৩৫) বলেন, ঘেরে মাছ দেওয়া যে তাপ পড়ছে তাতে মাছ মারা যাবে।ছোট ঘেরে আয় দিয়ে সংসার চলে মাছ বাঁচানো জন্য ঘেরে ডাল পুতে দিতে হচ্ছে।সূর্যের তাপ অসহনীয় গরমে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস হয়ে উঠছে। বাদঘাটা টার্মিনালের চা ব্যাবসায়ী হজরত আলীর ছেলে হারুন (২৪) তাপে হটাৎ অজ্ঞান হয়ে পড়ে জনানা চিকিৎসা নিতে আসা হারুনের ভাই। এবিষয়ে উপজেলা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কত্যাবরত চিকিৎসক,আব্দুল মজিদ জানান গত কয়েকদিনে তাপের কারনে ডায়রিয়া রুগি বেশি আসছে বিশেষ করে বাচ্চাদের বেশি সমস্যা হচ্ছে বলে জানান তিনি।