মিয়ানমারের পাখি যশোরে

0
3

নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোর শহরের কারবালা সিঅ্যন্ডবি’র কোয়াটার থেকে ময়ূর গোত্রীয় একটি বিরল প্রজাতির পাখি উদ্ধার হয়েছে। আজ রোববার (২১ এপ্রিল) গ্রিন ওয়ার্ল্ড এনভারমেন্ট নামের একটি সংগঠন পাখিটি যশোর অঞ্চলের বন সংরক্ষকের কাছে হস্তান্তর করেছে। শনিবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পাখিটিকে উদ্ধার করা হয়। বন সংরক্ষক এএসএম জহির উদ্দিন আকন জানান-এটি বিদেশি পাখি। যার বৈজ্ঞানিক নাম ফ্রেজিলাস কনসিকাস। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে নেপাল, জাপান ও মিয়ানমারে পাখিটি দেখা যায়। পাখিটি মূলত ময়ূর গোত্রিয়। বনবিভাগের অনুমাতি ছাড়া এ পাখি আনার সুযোগ নেই। রবিবার (২১ এপ্রিল) দুপুরে অনুষ্ঠানিকভাবে বন বিভাগের যশোর অঞ্চলের বন সংরক্ষক এএসএম জহির উদ্দিন আকনের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন উদ্ধারকারি সংস্থা গ্রীন ওয়ার্ল্ড এনভারমেন্টের নির্বাহী পরিচালক আশিক মাহমুদ সবুজ, সেচ্ছাসেবক নজরুল ইসলাম, নাইমুল ইসলাম মিলন, রুবেল আরিফ প্রমুখ। গ্রীন ওয়ার্ল্ড এনভারমেন্টের নির্বাহী পরিচালক আশবক মাহমুদ সবুজ জানান, শনিবার রাতে শহরের সিঅ্যন্ডবি রোডে সড়ক ও জনপদ বিভাগের কোয়াটার থেকে তৌফিক হাসান নামে এক ব্যক্তির বাড়ির আঙিনা থেকে সেচ্ছাসেবকদের সহয়তায় পাখিটি উদ্ধার করা হয়। পরে বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পারেন পাখিটি বিদেশী ‘র্যমপ রিংনেকড ফ্রিজেন্ট‘ নামে বিরল প্রজাতির। খাঁচায় বন্দি করে রাখা তৌফিক হাসানের দাবি-১৫ এপ্রিল পাখিটি তার বাড়ির সামনে উড়ে এসে বসে। তিনি এগিয়ে গেলেও পাখিটি বসেছিল। এ সময় পাখিটি কোয়াটারে নিয়ে খাঁচায় রেখে খাবার খাইয়ে সুস্থ করে তুলেছি। তিনি বলেন-বনবিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হলে আমার কোনো দায়-দাবি নেই। তবে কেউ যেন জবাই করে না খেয়ে ফেলে-এটি নিশ্চিত হতে পারলেই শান্তি পাবো। যশোর অঞ্চলের বন সংরক্ষক এএসএম জহির উদ্দিন আকন জানান, উদ্ধার পাখিটি বাংলাদেশের না। নেপাল, জাপান ও মিয়ানমারে পাখিটি দেখা যায়। পাখিটি মূলত ময়ূর গোত্রিয়। এর বৈজ্ঞানিক নাম ফ্রেজিলাস কনসিকাস। বন বিভাগের অনুমতি ছাড়া এসব পাখি কেউ দেশে আনতে পারে না। তিনি উদ্ধারকারিদের ধন্যবাদ জানান। তিনি আরও জানান, বন অধিদপ্তর ও বিশেষজ্ঞদের সাথে কথা বলে পাখিটি সংরক্ষণ করা হবে। তবে শেষ পর্যন্ত পাখিটির কপালে কী জুটেছে-তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদক খোঁজ-খবর রাখছেন।