রাজগঞ্জ বাজারে দাম বেড়েছে মাছ, মাংস, সবজিসহ সব ধরনের নিত্যপণ্যের

0
13

উত্তম চক্রবর্তী, রাজগঞ্জ
বৈশাখের শুরু থেকেই তীব্র খরতাপে কাঁপছে চারদিক। তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রির উপরে। চারদিক জুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহ। যার প্রভাব পড়ছে নিত্যপণ্যের বাজারেও। এতে যশোরের মনিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জ বাজারে দাম বেড়েছে মাছ, মাংস, সবজিসহ সব ধরনের নিত্যপণ্যের। সোমবার (২৯ এপ্রিল) সকালে রাজগঞ্জ বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। বিক্রেতারা জানান, তীব্র গরমে দাম বেড়েছে প্রায় সব পণ্যেরই। পাশাপাশি বাজারে কমেছে লোকজনের উপস্থিতি। বাজারে প্রতিকেজি শসা ৪০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১০০ প্রতিকেজি টাকা, টমেটো প্রতিকেজি ৪০-৫০ টাকা, পটল প্রতিকেজি ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া দাম বেড়েছে সব শ্রেণির সবজির। বিক্রেতারা অতিরিক্ত দামে বিক্রি করছে আলু ও পেঁয়াজ। আলু ৫০ টাকা প্রতিকেজি ও পেঁয়াজ ৬০ টাকা প্রতিকেজি, রসুন ১৮০ টাকা প্রতিকেজি। রাজগঞ্জ বাজারের একজন সবজি বিক্রেতা বলেন, তীব্র গরমে ক্ষেতে নষ্ট হচ্ছে সবজি। পাশাপাশি সেচ বাবদ বেড়েছে খরচ। যার প্রভাব পড়ছে বাজারে। বিল্লাল হোসেন নামের একজন ক্রেতা বলেন, বাজারে ঈদের আগে থেকেই পণ্যের দাম চড়া। তার ওপর তীব্র গরমের সুযোগ লুফে নিয়ে আরও দাম বাড়াচ্ছে ব্যবসায়ীরা। তীব্র গরমে যখন, গরম সবজির বাজার, ঠিক তখন উত্তাপ ঝরছে মাংসের বাজারেও। এক সপ্তাহর ব্যবধানে পোল্ট্রি, সোনালী মুরগির দাম প্রতিকেজিতে বেড়েছে ৩০-৪০ টাকা। আর দেশি মুরগির দাম প্রতিকেজি ৬০০-৬৫০ টাকা। অন্যদিকে প্রতিকেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকা। উত্তাপ ছড়িয়েছে মাছের বাজারেও। সকল প্রকারের মাছ চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে মাছের সরবরাহ কম থাকায় দাম বাড়ছে। নিত্যপণ্যের অস্থিত বাজার নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের দাবি ক্রেতাদের। ক্রেতারা বলছেন, নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হয় না। এতে বিক্রেতারা উচ্ছেমত দাম বাড়ানোর সুযোগ পায়। আর বিক্রেতারা বলেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা দাম বাড়াচ্ছে। বাজারে নিয়মিত অভিযান চললে অসাধুদের দৌরাত্ম্য কমবে।