লোহাগড়া পৌরসভার কার্যসহকারী কবির বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ!

0
22

রেজাউল করিম, লোহাগড়া
নড়াইলের লোহাগাড়া পৌরসভা অফিসের কার্য সহকারী কবির হোসেনের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা গেছে, কবির হোসেন পৌরসভার কচুবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ২০০৩ সালে লোহাগড়া পৌরসভায় চাকুরী নেন। সেই থেকে বেপরোয়া হয়ে ওঠে পৌর অফিসের কার্যসহকারি কবির। বর্তমানে ওই কার্যসহকারি কবির হয়ে উঠেছে পৌরসভার ইঞ্জিনিয়ার। বিভিন্ন স্থানে নিজেকে ইঞ্জিনিয়ার বলে পরিচয় দিয়ে আর্থিক ফায়দা লুটে নেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পৌরবাসী নতুন বাড়ি নির্মাণের জন্য পৌর আইন মোতাবেক পৌরসভার ইঞ্জিনিয়ার কর্তৃক নকশার প্রয়োজন হয়। নকশা অনুমোদনের জন্য কবিরের কাছে জমা দিলে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে কবির মোটা আকারের টাকা চায়। তার চাহিদা মতন টাকা না দিলে নতুন বাড়ী নির্মাতাদের হয়রানির শিকার করে। ভুক্তভোগী বাবু শেখ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, কবির নিজেকে পৌরসভার ইঞ্জিনিয়ার দাবি করে আমাকে রাগান্বিত হয়ে বলেন, আপনারা কেন অন্য জায়গায় যান। আমি ইঞ্জিনিয়ার আমার কাছে সরাসরি চলে আসবেন। আমি সব কাজ করে দিবো। কবির নকশা অনুমোদনের জন্য বাবু শেখের কাছে ৪৬ হাজার টাকা ঘুষ দাবী করে। বাবু শেখ উক্ত টাকা দিতে রাজি না হয়ে সরাসরি ইঞ্জিনিয়ারের কাছে েেথকে বাড়ীর নকশা অনুমোদন করে কাজ শুরু করে। কবিরের কাছে না যাওয়াই সে ক্ষীপ্ত হয়ে অনেক দিন ঘুরিয়েছে। এরপর বাবু শেখ বাড়ীর কাজ করতে গেলে কবির রহিরাগত লোকজন নিয়ে বাড়ী নির্মানের কাজ বন্দ করে দেয় এবং দাবীকৃত টাকা না দিলে বাড়ী করা বন্দ থাকবে বলে শাসিয়ে আসে। আরেক ভুক্তভোগী রিফাত বলেন, আমি বাড়ির নকসা এর জন্য পৌরসভায় গেলে কবির আমাকে জানান আমি পৌরসভার ইঞ্জিনিয়ার আপনি টাকা পয়সা দিলে আমি নকসা পাশ করে দিবো ।কবিরের কথায় সন্দেহ হলে আমি সেখান থেকে চলে আসি। গত রোববার পৌরসভা কার্যালয়ে গিয়ে ইঞ্জিনিয়ারের চেয়ারে কবিরকে বসা দেখে তার পদবী জানতে চাইলে, তিনি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা না বলে বক্তব্য দিতে পারবে না বলে জানিয়ে দ্রুত অফিস ত্যাগ করেন। উল্লেখ্য যে, ইতি পূর্বে কার্য সহকারী কবির হোসেন পৌরসভার ইঞ্জিনিয়ার রতন কুমার রায়কে মারধোর করার কারণে পৌর অফিস কর্তৃক গত ২০/ মার্চ ২০২৪ কবিরকে কারন দর্শানো নোটিশ জারি করেন। লোহাগড়া পৌরসভার ইঞ্জিনিয়ার রতন কুমার রায় জানান, আমি ঢাকায় ট্রেনিং এ রয়েছি এ বিষয়ে এখন কিছু বলতে পারব না। এ বিষয়ে লোহাগড়া পৌরসভার মেয়র সৈয়দ মশিয়ূর রহমান বলেন, আপনারা লিখিত দেন আমি বিষয়টি দেখব।