প্রতিদিনের ডেস্ক
কলকাতার বাঙালি অভিনেত্রী মৌনী রায়ের নাম শুধু ছোট পর্দার দর্শকের মধ্যেই নয়, হিন্দি ছবির দুনিয়াতেও একটি উল্লেখযোগ্য নাম হয়ে উঠেছে। অয়ন মুখোপাধ্যায়ের ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ ছবিতে অভিনয়ের পরই বড় পর্দায় নায়িকা হিসাবে রাতারাতি জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। তার আগে অবশ্য দু-একটি আইটেম ডান্সে মৌনির ম্যাজিক ছিল সুপারহিট। তবে তার উত্থান ছোট পর্দা দিয়েই। একতা কাপুরের ‘নাগিন’ ধারাবাহিকে অভিনয়ের সময় ড্রইং রুমের দর্শকের একেবারে ঘরের মেয়ে হয়ে উঠেছিলেন মৌনী। সোশ্যাল মিডিয়াতেও ভীষণ সরব। কখনও বন্ধুদের সঙ্গে তো কখনও আবার বেটারহাফের সঙ্গে ছবি পোস্ট করেন। আজকের এই হাসিখুশি মৌনী একটা সময় মারাত্মক পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে গিয়ছিলেন। একদিনে ৩০ টি ওষুধ আবার কখনও ইনজেকশনও নিতে হয়েছে তাকে। ‘নাগিন’ ধারাবাহিকে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার আগে এই রকম একটা কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে গিয়েছিলেন মৌনী রায়।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সেই কথা বলেছেন নায়িকা। তিনি বলেন, এটি ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা। ‘নাগিন’ ধারাবাহিকে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার আগে এমন একটা সময় কাটিয়েছি যখন মনে হতো আমি মরেই যাব। ঝলক দিখলা জা ৯ শেষ করার পর শিরদাঁড়ার স্কোলিওসিস হওয়ার সঙ্গে ক্ষয়ে গিয়েছিল। যার জন্য আমি সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারতাম না। একটানা তিন মাস বিছানায় শয্যাশায়ী। সেই সময়ই নাগিনের প্রস্তাব পেয়েছিলাম। আমার ওজন অনেক বেড়ে গিয়েছিল। তবে সেটা কত জানি না। দিন ৩০ টা ওষুধ আর ইনজেকশন নেওয়ার জন্যই শরীরের ওই অবস্থা হয়েছিল। মৌনী সাক্ষাৎকারে নাগিনের জন্য প্রস্তাব দেওয়ায় একতা কাপুরের প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করেছেন। প্রাথমিকভাবে ফিকশন ড্রামা নাগিন সম্প্রচারের জন্য তিন মাসের পরিকল্পনা ছিল। পরে সেটাকে বাড়িয়ে সাত মাস করা হয়। ২০১৫ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত টেলিকাস্ট হয়েছিল। যেখানে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন মৌনী রায় ও অর্জুন বিজলানী। মৌনীকে শেষ দেখা গিয়েছি ওয়েব সিরিজ শোটাইমে। যেখানে তার সঙ্গে ছিলেন ইমরান হাসমি, নাসিরুদ্দিন শাহ, মহিমা মাখওয়ানা, রাজীব খন্দেলওয়াল আর শ্রীয়া সরেন।