তথ্য নিয়ন্ত্রণ স্মার্ট বাংলাদেশ ধারণার সঙ্গে সাংঘর্ষিক: দেবপ্রিয়

0
15

প্রতিদিনের ডেস্ক:
সিপিডির ফেলো অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, দেশ এখন এলডিসির দিকে যাচ্ছে। সরকার ডিজিটাল ও স্মার্ট বাংলাদেশ বলছে। তথ্য নিয়ন্ত্রণ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ ধারণার সঙ্গে সাংঘর্ষিক।মঙ্গলবার (৭ মে) রাজধানীর নয়াপল্টনে মোয়াজ্জেম হোসেনের স্মরণে তারই প্রতিষ্ঠিত ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) উদ্যোগে সংগঠনটির কার্যালয়ে স্মরণসভায় এসব কথা বলেন তিনি।ইআরএফ সম্পাদক আবুল কাশেমের পরিচালনায় এবং সংগঠনটির সভাপতি রেফায়েতুল্লা মৃধার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ইংরেজি দৈনিক ফিনান্সিয়াল এক্সেপ্রেসের সম্পাদক শামসুল হক জাহিদ। দেশের অর্থনৈতিক সাংবাদিকদের একমাত্র সংগঠন ইআরএফ আয়োজিত অনুষ্ঠানে গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, এখন রপ্তানি হচ্ছে তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যালেন্স অব পেমেন্টের তথ্যে উঠে এলেও ‘টাকা আসছে না।’ আর তখনই তথ্য বন্ধ করা হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক এমন সময়ে এ উদ্যোগ নিয়েছে যখন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আএমএফ) সরকারের সংস্কার উদ্যোগের ফলাফল বিশ্লেষণ করছে।তিনি বলেন, ডাল মে কুছ কালা হে। আত্ম সংরক্ষণমূলক এই পদক্ষেপ সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশ ধারণার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এটা তখনই হয়, যখন বহুবাদ, গণতন্ত্র উঠে যায়। উর্দি পরা ও উর্দি বিহীন আমলারা এটা করেন। কারণ তারা জনমানুষের সামনে জবাবদিহি করতে ভয় পান। সরকারের কোথায় কি ব্যয় হচ্ছে তার সকল তথ্য তাদের কাছে থাকছে। সংসদ সদস্যরাও সেই তথ্য জানেন না। সরকারের প্রতিনিধিদের যদি জনপ্রতিনিধিত্ব থাকতো তাহলে এ অবস্থা হতো না।তিনি আরও বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, গণতন্ত্রাত্রিক ধারাবাহিকতায় সরকার বদল, প্রতিযোগিতামূলক রাজনীতির জন্য ৯০ এর দশক বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী অনন্য দশক। ওই সময় সমালোচকরাও বর্তমানের তুলনায় অনেক বেশি স্বাধীনতা বোধ করতেন। ওই সময় নীতিপ্রণেতাদের সঙ্গে সমালোচক, সাংবাদিকদের গভীর ও আস্থার সম্পর্ক ছিল। নব্বইয়ের দশককে গণতন্ত্রের জন্য স্বর্ণযুগ বলা হয়।