নিজের প্যারোডি নাচের ভিডিও শেয়ার করে মমতাকে খোঁচা দিলেন মোদী

0
11

প্রতিদিনের ডেস্ক:
ভারতে চলছে তৃতীয় দফা লোকসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। এর মধ্যেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের নাচের একটি ভিডিও শেয়ার করলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভিডিওটিতে তাকে বিশেষ ভঙ্গিমায় হাঁটতে ও নাচতে দেখা যাচ্ছে, যা নিয়ে তোলপাড় নেটদুনিয়া।তবে উচ্ছ্বসিত হওয়ার কিছু নেই। ভিডিওটি সত্যি নয়, তৈরি করা। প্রথমে এথেয়িস্ট কৃষ্ণ নামক একটি এক্স হ্যান্ডেল থেকে এটি শেয়ার করা হয়। সঙ্গে ক্যাপশনে লেখা হয়, ভিডিওটি পোস্ট করছি। কারণ আমি জানি, এর জন্য ‘ডিক্টেটর’ আমাকে গ্রেফতার করবেন না। মূলত পোস্টটিতে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীকে পরোক্ষভাবে কটাক্ষ করা হয়।পরে ওই ভিডিওটিই শেয়ার করেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী। সঙ্গে লেখেন, আপনাদের সবার মতো আমিও নিজেকে নাচতে দেখে আনন্দ পেয়েছি। ভরা ভোটের মৌসুমে এই ধরনের সৃজনশীলতা সত্যিই আনন্দ দেয়।কিন্তু নির্বাচনের মধ্যে মোদী কেন নিজের নাচের স্পুফ ভিডিও শেয়ার করলেন? রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এর পিছনেও রয়েছে রাজনীতি।সম্প্রতি মমতা ব্যানার্জীকে নিয়ে একই ধরনের একটি ভিডিও তৈরি করে শেয়ার করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে পোস্টদাতাদের নোটিস দেয় কলকাতা পুলিশ। এ ঘটনার পরপরই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নিজেকে নিয়ে বানানো ভিডিওটি শেয়ার করলেন। এর মাধ্যমে মোদী কৌশলে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে খোঁচা দিয়েছেন।প্রধানমন্ত্রী মোদী যে ভিডিওটি শেয়ার করেছেন, সেটি আসলে মার্কিন র‍্যাপ সঙ্গীত শিল্পী লিল ইয়াচটির মঞ্চে প্রবেশ করার এক ভিডিও। ২০২২ সালের ২১ জুন ইউটিউবে ভিডিওটি প্রথম পোস্ট করা হয়েছিল। তারপর থেকে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) সাহায্যে অ্যাডলফ হিটলার থেকে শুরু করে ডিসি কমিকসের সুপার ভিলেন জোকারের মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিখ্যাত বা কুখ্যাত ব্যক্তিত্বদের মুখ, ইয়াচটির জায়গায় ব্যবহার করে মিম তৈরি করার ট্রেন্ড শুরু হয়েছে।মজার বিষয় হলো, সোমবার (৬ মে) মমতা ব্যানার্জীর একটি স্পুফ ভিডিও শেয়ার করার দায়ে কলকাতা পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিভাগের নোটিস পেয়েছেন দুই এক্স ব্যবহারকারী। তাদের শেয়ার করা ভিডিওর নিচেই কলকাতা পুলিশ লিখেছিল, যদি পোস্টদাতারা অবিলম্বে তাদের নাম ও বাসস্থানসহ পরিচয় প্রকাশ না করেন, তাহলে ফৌজদারি আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।পরে অবশ্য পুলিশের পক্ষ থেকে ওই পোস্ট মুছে দেওয়া হয়। তবে, ততক্ষণে ভিডিয়োটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে।