আপস করতে চান না ঋতাভরী

0
15

প্রতিদিনের ডেস্ক
যখন প্রথম ভোট দিতে গিয়েছিলাম ইন্ডাস্ট্রিতে সদ্যই কাজ শুরু করেছি। ‘ওগো বধূ সুন্দরী’ রমরমিয়ে চলছে ছোট পর্দায়। তখন সরকার বদলের হাওয়া। শেষ ২০ বছরে সব থেকে চ্যালেঞ্জিং নির্বাচন, বামফ্রন্ট সরকার পড়ে গিয়ে তৃণমূল ক্ষমতায় আসে। তবে আমার প্রথম ভোট দিতে গিয়ে উপলব্ধি হয়েছিল, গণতন্ত্রই শেষ কথা। ক্ষমতা জনগণের হাতে, এটা ভুলে গেলে চলবে না। এমন করেই কথাগুলো বলছিলেন কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তী। সম্প্রতি ভারতের রাজনীতি নিয়ে নিজের মতবাদ ব্যক্ত করেছেন তিনি। আর সেটা করতে গিয়ে রাজনীতিবিদদের সমালোচনাও করেছেন তিনি। তাছাড়া রাজনীতিতে তিনি আসছেন না, সে বিষয়েও জানিয়েছেন।
ঋতাভরী বলেন, কেউ যদি গলা ফাটিয়ে নিজের রাজনৈতিক মতামত মানুষের আলোচনার মধ্যে আনতে চান, সেক্ষেত্রে কোনো ভুল নেই। কিন্তু অনেকে জনসমক্ষে রাজনৈতিক মত প্রকাশ করতে চান না, তা সত্ত্বেও নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার বজায় রেখে দেশের ভবিষ্যৎ নির্বাচনের জন্য ভোট দিচ্ছেন। নীরব হলেও তার রাজনীতিটাও কিন্তু জোরদার। আমি নিজেও এই মতবাদে বিশ্বাসী। অভিনেত্রী বলেন, বহুবার রাজনৈতিক দল থেকে ডাক এসেছে, বারবার ফিরিয়ে দিয়েছি। কোনো দলের প্রচারের মুখ হতে চাই না আমি। রাজনীতিতে যোগ দিলে বাকি সব ছাড়তে হবে। সেটা অভিনয় হোক অথবা আমার স্কুলে বাচ্চাদের সঙ্গে সময় কাটানো হোক। তার মানে, আমার মূল পেশার সঙ্গে আপস করতে হবে! কিন্তু সেটা আমি করতে চাই না। যে কাজে আছি সেটাই শতভাগ করতে চাই। আর একটি কথা বলতে চাই, আমাদের এখানে এমন মানুষও রাজনীতিতে আসেন, যাদের মেরুদণ্ড নেই, নীতির সঙ্গে আপস করেন। অথচ ভালো লোকের অভাব নেই আমাদের। কিন্তু তারা রাজনীতিতে আসতে চান না। কেন সেটা খতিয়ে দেখা জরুরি।