শার্শায় শিক্ষক আব্দুল আলিমের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি তদন্তে প্রমাণিত : সাময়িক বরখাস্ত

0
20

তরিকুল ইসলাম, শার্শা
যশোরের শার্শা উপজেলার বুরুজ বাগান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আব্দুল আলিমের বিরুদ্ধে ছাত্রীর শ্লীলতাহানির ঘটনার সত্যতা মিলেছে। বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেনীর এক ছাত্রী তার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনে বিচারের দাবী জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে আবেদন করেন। এ ঘটনায় উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তার দপ্তর তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশনা দেয়া হয়। তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান চৌধুরীকে। তদন্ত কমিটি সংশ্লিষ্ট সকলের বক্তব্য গ্রহন করে ব্যাপক পর্যালোচলার পর গতকাল প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। তদন্ত প্রতিবেদনে সহকারী এ প্রধান শিক্ষক আব্দুল আলিমের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। এদিকে এলাকাবাসী তার শাস্তির দাবীতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে জোর দাবী জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নয়ন কুমার রাজবংশী বলেন ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। যথাযথ ব্যবস্থার জন্য উদ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন প্রেরণ করা হবে। প্রসঙ্গত, শার্শা উপজেলার নাভারন বুুজবাগান হাইস্কুলের সহকারী শিক্ষক ছাত্রীকে শ্লীলতা হানি করায় ওই ছাত্রী লিখিত অভিযোগ দিয়েছে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি ও জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কাছে। সহকারী শিক্ষক আব্দুল আলীমের বিরুদ্ধে এছাড়াও একাধিক নারী ঘটিত নানা ধরনের কেলেংকারী রয়েছে বলেও এলাকায় গুঞ্জন রয়েছে। বুরুজবাগান হাইস্কুলের শিক্ষক আব্দুল আলীম তার স্কুলের দশম শ্রেনীর ছাত্রীকে প্রাইভেড পড়াতো। ওই ছাত্রীকে প্রাইভেড পড়ানোর ফাঁকে ফাঁকে তার গায়ে বিভিন্ন সময় সুযোগ বুঝে হাত দেওয়ার চেষ্টা করত। সম্প্রতি ওই ছাত্রীদের সহপাঠিদের প্রাইভেট পড়া শেষে তাকে নোট দেওয়ার কথা বলে দেরী করতে বলে। এরপর অন্যান্য ছাত্র-ছাত্রী চলে গেলে ওই ছাত্রীকে সে কুরুচিপুর্ন কথা বলে। সে শিক্ষকের আচারনে ক্ষুব্দ হয়ে বিষয়টি তার মাকে বলে। তারপর সে অভিভাবক ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তি বর্গের মাধ্যেমে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ দেওয়ার পর শিক্ষক সাময়িক বরখাস্ত রয়েছে। নাভারন বাজার এলাকার সেলিম রেজা বলেন, এ শিক্ষক এর বিরুদ্ধে একই ধরনের অভিযোগ আরো কয়েকবার হয়েছে। তার চরিত্র খারাপ। তাকে স্কুল থেকে সরিয়ে না দিলে পরিবেশ নস্ট হবে। স্কুলে অভিভাবকরা তাদের ছেলে মেয়েদের স্কুলে দিতে কুন্ঠাবোধ করবে। কারন যাদের কাছে নিরাপদ তারাই যদি নষ্টামি করে তাহলে কি ভাবে লেখা পড়ার পরিবেশ ভাল থাকবে। এ ব্যাপারে শিক্ষক আলীম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হয়েছে। এর আগে এক শিষ্কিকার সাথে এরকম আচারন ও একাধিক নারীদের সাথে স্কুলের শিড়ির নীচে অনৈতিক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগ এর বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন কিছু সত্য কিছু মিথ্যা। এরকম ঘটনা আর হবে না বলে তিনি জানান।