দিঘলিয়ায় ৭ বছরের শিশু ধর্ষণের অভিযোগে মামলা, ধর্ষক গ্রেফতার

0
34

খুলনা প্রতিনিধি
খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার বারাকপুর গ্রামের উত্তর পাড়ায় ৭ বছরের শিশু ধর্ষণের ঘটনায় দিঘলিয়া থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত একই গ্রামের গোলাম মিনার ছেলে হারুন মিনা (৪৫) কে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। শিশুটির নানি মামলার বাদী আকলিমা বেগম মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন, বুধবার (৮ মে) আমার ৭ বছর বয়সী নাতী বিকালে বাড়ির উঠানে খেলা করছিলো। এ সময় পাশের বাড়ির ৪৫ বছর বয়সী হারুন মিনা তাকে বিস্কুট খাওয়ানোর প্রলোভন দেখিয়ে নিজ বসত ঘরের ডেকে নিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়। এরপর ঘরের মেঝেতে চিৎ করে শুয়াইয়ে তার পরিহিত হাফ প্যান্ট খুলে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। নাতির চিৎকার শুনে হারুনের বসত ঘরের সামনে যেয়ে আমার নাতির নাম ধরে ডাকতে থাকি। আমার ডাক শুনে হারুন আমার নাতীর হাতে দুইটা বিস্কুট ধরায় দিয়ে দরজা খুলে দেয়। আমার নাতি কাঁদতে কাঁদতে ঘর থেকে বের হয়ে আসে। আমি তাকে জিজ্ঞেস করি কি হয়েছে? সে আমাকে ঘটনা বলা মাত্র তার পরনের প্যান্ট খুলে ধর্ষণের আলামত দেখতে পায়। তখন আমি আমার আত্মীয় জনের সঙ্গে আলোচনা করে থানায় হাজির হয়ে মামলা দায়ের করি। অন্যদিকে এলাকাবাসীর কাছ থেকে জানা যায়, ঘটনাটি এলাকায় জানাজনি হলে একটি মহল ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে এবং ভুক্তভোগীদের থানায় আসতে বাধার সৃষ্টি করে। তখন শিশুর স্বজনরা গোপনে ৯৯৯ এ কল দেয়। খবর পেয়ে দিঘলিয়া থানা পুলিশের একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্ত হারুনকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে। ঘটনার দিন রাতেই শিশুটির স্বজনরা তাকে চিকিৎসার জন্য দিঘলিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্র নিয়ে আসে। এসময় কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ তাসনিয়া শিশুটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করেন। রাতেই শিশুটির মেডিকেল পরীক্ষার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়। জানা যায়, ধর্ষণের শিকার শিশুটির বাড়ি বাগেরহাট জেলার মোংলা কাটাখালি। সে তার নানা বাড়ি থেকো পড়াশোনা করে। বারাকপুর শেখপড়া মাদ্রাসার শিশু শ্রেনীর ছাত্রী। দিঘলিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ মো. বাবুল আক্তার বুধবার ৯৯৯ থেকে কল পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। এবং তাৎক্ষণিকভাবে ধর্ষণের অভিযুক্ত হারুন মিনাকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আছি। বৃহস্পতিবার দুপুরে গ্রেফতারকৃত আসামিকেকোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে।গতকাল রাতেই উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্র শিশুটিকে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা শেষে স্বজনদের অভিযোগের ভিত্তিতে ধর্ষণ মামলা রুজু করি। ডাক্তারী পরীক্ষার পর জানা যাবে শিশুটিকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে নাকি ধর্ষণ করা হয়েছে।