২রা আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ  । ১৬ই জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ 

পাইকগাছায় ভুয়া কৃষকের নামে ওসিএলএসডি ধান নিচ্ছেন কালোবাজারীদের কাছ থেকে

মাজহারুল ইসলাম মিথুন, পাইকগাছা
খুলনার পাইকগাছায় ভুয়া কৃষকের নামে কালো বাজারীদের কাছ থেকে কৌশলে বোরো ধান সংগ্রহ করছে খাদ্য গুদাম কতৃপক্ষ । কথিত মিলার নামে কাল বাজারীরা দু-এক হাজার টাকার বিনিময়ে ভুয়া কৃষক এনে খাদ্য গুদমের খাতায় করাচ্ছে স্বাক্ষর। এদিকে উপজেলা কৃষি অফিসের তৈরী করা কৃষকের তালিকা ভুয়াতেই ভরা। উপজেলা খাদ্য গুদামে গত ১৯ মে বোরো ধান সংগ্রের উদ্বোধন করা হয়। উদ্ধোধন করেন খুলনা-৬ সংসদ সদস্য রশীদুজ্জামান। চলতি বোরো মৌসুমে ৫’শ মেট্রিক টন ধান ক্রয়ের লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়েছে। রোববার পর্যন্ত ১০০ মেঃ টঃ ধান ক্রয় করা হয়েছে বলে জানা গেছে। সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ধান সংগ্রহের কথা। কিন্তু সব ধান ক্রয় করা হচ্ছে ভুয়া মিলার তথা কালোবাজারীদের কাছ থেকে। তবে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে তৈরী করা কৃষকের তালিকায় যাদের নাম আছে তাদের স্বাক্ষর করা হচ্ছে গুদমের খাতায়। তাদের ব্যাংক একাউন্টও আছে। মাত্র দু-এক হাজার টাকা দিলে কথিত ঐ কৃষকের স্বাকর কোন ব্যাপারনা। তবে আগে ঐ কৃষকের কাছ থেকে চেকে স্বাক্ষর করে রাখা হয় যদি সে টাকা তুলে না দেয়। এ পর্যন্ত যেসব কৃষকদের নামে ধান ক্রয় দেখানো হয়েছে সরজমিনে গেলে দেখা যায় কেউ কেউ এক বিঘা,কেউ ১০ কাটা জমিতে ধান লাগিয়েছিলেন।যা উৎপাদন হয়েছে সেটা তাদের লাগে বলে জানান। খাদ্য গুদামের সামনে সব সময় ১০-১২ জন মিলার নামে কালোবাজারী বসে থাকেন। তারা গোপালগঞ্জ, ফরিদপুরসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে ট্রাকে করে এনে নিকটবর্তী স্থানে নামিয়ে নসিমন, ট্রলিতে করে গুদামে জমা দিচ্ছেন। এব্যাপারে খাদ্যগুদাম ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হামিবুর রহমান বলেন আমরা কৃষকের নাম পাচ্ছি, তারা অফিসে এসে স্বাক্ষর করছে।এর পিছনে অন্য কেউ আছে কিনা সেটা আমার জানার বিষয় নয়। এছাড়া কৃষি অফিস আমাদেকে তালিকা সরবরাহ করেছে। সে তালিকায় তাদের নাম রয়েছে। ভাউচারে বিরাশি গ্রামের আমজাদ দম্পতি ধান না লাগালেও ঐ দম্পতি ৬ মেট্রিকটন ধান বিক্রি করেছেন। নারায়ন চন্দ্র তিনি কথিত মিলার ও একজন ব্যবসায়ী। তার ব্লক না থাকলেও তিনিও তার নামেও ৩ মেঃ টঃ ধান দিয়েছেন। তবে তারও নেই কোন ধাবের ব্লক। পাইকগাছা পৌরসভায় কোন ব্লক নেই তবে কৃষি অফিসের তালিকায় রয়েছে অসংখ্য কৃষকের নাম।বলা যায় কৃষি অফিসের তালিকা ভুয়াতে ভরা। ভেজা ও চিটা ধান নেয়া নিষেধ। এরপরও অনেক সময় সেটা বৈধ হয়ে যাচ্ছে। এক -দেড়শ বস্তা ভেজা ধান গুামের সামনে রাখা হয়ে। কোন এক সময় এটাও বৈধ হয়ে গেছে।

আরো দেখুন

Advertisment

জনপ্রিয়