১৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ  । ৪ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ 

নামসর্বস্ব অস্তিত্বহীন লোহাগড়া টাউন ক্লাবের নামে জেলা ক্রীড়া সংস্থার বরাদ্দ আত্মসাৎ

রেজাউল করিম, লোহাগড়া
নড়াইলের লোহাগড়ায় নামসর্বস্ব অস্তিত্বহীন লোহাগড়া টাউন ক্লাবের নামে বছরের পর বছর জেলা ক্রীড়া সংস্থা কর্তৃক বরাদ্দকৃত ক্রীড়া সরঞ্জাম ও নগদ অর্থ ক্লাবের কথিত কর্মকর্তা আত্মসাৎ করেছেন। লোহাগড়া উপজেলার কোথাও ক্লাবটির কোন অস্তিত্ব বা কর্মকান্ড এমনকি সাইনবোর্ড পর্যন্ত নেই, তবে কাগজ-কলমে রয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নড়াইল জেলা ক্রীড়া সংস্থার রেজিস্টার্ড/তালিকাভূক্ত ক্লাব হলো লোহাগড়া টাউন ক্লাব। অভিযোগ রয়েছে এই লোহাগড়া টাউন ক্লাবের নামে জেলা ক্রীড়া সংস্থার অনেক বরাদ্দ আসতো। যা আত্মসাৎ করেছেন ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক এক শীর্ষ কর্মকর্তার আত্মীয় শরিফুজ্জামান নোমান। ওই ক্লাব লোহাগড়ার ক্রীড়াঙ্গনে কোন ভূমিকা রাখেনি। অথচ সারা বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে লোহাগড়া উপজেলার ক্রীড়াবীদ বা খেলোয়াড়দের উজ¦ল ভূমিকা রয়েছে। এ ব্যাপারে নড়াইল জেলা ক্রীড়া অফিসার ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য সচিব মোঃ কামরুজ্জামান জানান, লোহাগড়া টাউন ক্লাব নামে একটি প্রতিষ্ঠান জেলা ক্রীড়া সংস্থার রেজিস্টার্ড/ তালিকাভূক্ত ক্লাব। তবে কোনদিন কোন কার্যক্রম চোখে পড়েনি। কাগজ কলমে লেখা আছে লোহাগড়া টাউন ক্লাব। ঠিকানাঃ লক্ষীপাশা, লোহাগড়া। ক্রীড়া সংশ্লিষ্ট ও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের সাথে কথা বলে জানা গেছে, কেউ কোন দিন লক্ষীপাশা এলাকায় লোহাগড়া টাউন ক্লাব নামে কোন অফিস বা সাইনবোর্ড দেখেনি। লোহাগড়া বাজার বা আশপাশের এলাকাতেও এই নামে কোন ক্লাবের অস্তিত্ব নেই। জানা যায়, নামসর্বস্ব অস্তিত্বহীন লোহাগড়া টাউন ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক পদে একটানা ২৩ বছরের বেশী সময় ধরে দায়িত্ব পালন করছেন লোহাগড়া কলেজপাড়ার বাসিন্দা শরিফুজ্জামান নোমান। তিনি বলেন, ১৯৮৬ সালের রেজিস্ট্রেশন প্রাপ্ত লোহাগড়া টাউন ক্লাবের অফিস ও সাইনবোর্ড এক সময় লোহাগড়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ভিতরে ছিলো,এখন নেই। আমি এই ক্লাবের নামে কোন বরাদ্দ পাইনি, আত্মসাতের অভিযোগ সঠিক নয়।বিস্তারিত ক্লাবের সভাপতি শিক্ষক এসএম হায়াতুজ্জামান জানে। এ ব্যাপারে হায়াতুজ্জামান বলেন, আমি কোন দিন লোহাগড়া টাউন ক্লাবের সভাপতি পদে ছিলাম ন্ া

আরো দেখুন

Advertisment

জনপ্রিয়