১৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ  । ৪ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ 

সড়ক সংস্কারের দাবিতে এম এম কলেজের শিক্ষার্থীদের ‘লং মার্চ টু পৌরসভা’ কর্মসূচি

খন্দকার রুবাইয়া
যশোর সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজের সামনের শাহ আবদুল করিম সড়ক সংস্কারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও পৌরসভা ঘেরাও করে শিক্ষার্থীরা। বুধবার৷ সকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোর সরকারি এমএম কলেজ শাখার উদ্যোগে এই কর্মসূচি শুরু হয়। লং মার্চ টু পৌরসভা শিরোনামে পৌরসভার উদ্দেশ্যে পদযাত্রা শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের সাথে সংহতি প্রকাশ করে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে অংশ নেন স্থানীয় বাসিন্দা ও শিক্ষকরা। এসময় তারা স্লোগান দিতে থাকেন। এসময় শিক্ষার্থীরা বলেন, বর্ষা মৌসুম এলেই এমএম কলেজের সামনের রাস্তাসহ আশপাশের কোনো রাস্তা দিয়ে চলাচল করা যায় না। অল্প বৃষ্টিতে রাস্তায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। কোনটা রাস্তা আর কোনটা ড্রেন বোঝা যায় না। পানি জমার কারণে বিটুমিনের আস্তরণ উঠে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এতে কলেজে যাতায়াতকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ খড়কী এলাকার মানুষকে অবর্ণনীয় দুর্ভোগে পড়তে হয়। এক দশকের বেশি সময় ধরে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন সময়ে জনপ্রতিনিধিরা আশ্বাস দিয়েই আসছে, আমরা আশ্বাস চাই না, কার্যকর ভূমিকা চাই। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোরের মুখপাত্র ফাহিম ফাত্তাহ বলেন, ‘আমরা অনেক আশ্বাস পেয়েছি, সেসব আশ্বাস কার্যকর হয়নি। ছাত্রদের গণ-অভ্যুত্থানের পর নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। নতুন বাংলাদেশেও বারংবার আমরা সড়কটি সংস্কারের ব্যাপারে কার্যকর উদ্যোগ নিতে দাবি জানিয়েছিলাম। কিন্তু দৃশ্যমান কোনো কার্যক্রম দেখিনি। এই রাস্তা সংস্কারের দাবি, কলেজের ৩৮ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীর, এই এলাকার বাসিন্দাদের। শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়কের দাবিতে আমরা রাজপথে নেমেছি। আমাদের দাবি, আমরা আর আশ্বাস চাই না, আমরা চাই যথার্থ উদ্যোগ।’ এদিকে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে পৌরসভা চত্বরে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড দিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। একপর্যায়ে যশোর পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মোরাদ আলীর নেতৃত্বে পৌরসভার একটি প্রতিনিধিদল শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেন। এসময় দ্রুত সংস্কারের আশ্বাসে কর্মসূচি স্থগিত করেন শিক্ষার্থীরা। পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মোরাদ আলী বলেন, ‘এম এম কলেজের সামনের রাস্তা ও ড্রেন সংস্কারের জন্য সাড়ে ৮ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে। দ্রুত টেন্ডার আহ্বান করে, কাজ শুরু হবে। যেহেতু সড়কটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ততম। ফলে যে ঠিকাদার কাজটি পাবে, দ্রুত সময়ে যাতে কাজ শুরু করে সম্পন্ন করে সেটিও নির্দেশনা দেওয়া হবে।’ প্রসঙ্গত, শুধু এই শাহ আবদুল করিম সড়কটি নয়, যশোর পৌরসভার অন্তত ৮০টি সড়ক বেহাল অবস্থায় রয়েছে। অবস্থা খুবই নাজুক। সাম্প্রতিককালে সড়ক উন্নয়নে তেমন কোনো কাজই হয়নি। বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতায় গর্ত সৃষ্টি হয় আর শুষ্ক মৌসুমে বিটুমিনের আস্তরণ উঠে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়। চরম বিড়ম্বনায় পড়েছেন পৌরবাসী। এসব সড়ক সংস্কারের দাবিতে স্থানীয় বাসিন্দারা বিক্ষোভ মিছিল, গণস্বাক্ষরসংবলিত স্মারকলিপিও প্রদান করেছেন বিভিন্ন সময়ে দায়িত্বে থাকা মেয়র, প্রশাসকদের কাছে। দ্রুত এসব সড়কগুলো সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন বাসিন্দারাও।

আরো দেখুন

Advertisment

জনপ্রিয়