আব্দুর রাজ্জাক রাজন, মহেশপুর
ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্ত দিয়ে পালানোর সময় ঢাকা দক্ষিণ মহানগর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিনসহ তিন মানবপাচারকারী দালালকে আটক করেছে স্থানীয়রা। শনিবার (৯ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার ম্যঅমকুর ইউপির জেলেপোতা গ্রামের ক্লাব মোড় এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। স্থানীয় সূত্র জানায়, গত বৃহস্পতিবার অবৈধভাবে ভারতে পালানোর সময় রিয়াজ উদ্দিন মহেশপুর উপজেলার পিপুল বাড়িয়া গ্রামের দালাল ভজের আলীর কাছে পৌঁছান। এ সময় দালাল চক্রের সদস্যরা তাকে জিম্মি করে কয়েক ধাপে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করে। টাকা দিতে ব্যর্থ হলে দুই দিন ধরে তাকে আটক রেখে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। শনিবার ভোরে মোটরসাইকেলে করে তাকে শহরের দিকে নিয়ে আসার সময় সুযোগ পেয়ে রিয়াজ উদ্দিন লাফিয়ে পড়ে চিৎকার শুরু করেন। তার ডাক শুনে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে মোটরসাইকেলে থাকা দুই দালালসহ রিয়াজকে আটক করে। এ সময় খবর পেয়ে দালাল চক্রের অন্যতম সদস্য ভজের আলী, বিজিবি সদস্যদের সঙ্গে ঘটনাস্থলে এসে আটকদের ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে ক্ষুব্ধ জনতা তাকেও আটক করে। পরে বিজিবি সদস্যরা আটক দালালদের নিতে চাইলে স্থানীয়রা বাধা দেন এবং থানা পুলিশে খবর দেন। পরে মহেশপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে রিয়াজ উদ্দিন ও তিন দালালকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। স্থানীয় শ্যামকুড় ইউপি সদস্য তরিকুল ইসলাম জানায়, দালালরা ওই ব্যক্তিকে মাঠের মধ্যে রাস্তা দিয়ে মোটরসাইকেলে নিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তা কাঁচা থাকায় ফিরে আসে। এ সময় স্থানীয় লোকজন তাদের আটক করলে আওয়ামী লীগ নেতা রিয়াজ উদ্দিন স্বীকার করেন দালালরা তাকে ৩ দিন ধরে আটক রেখেছে। তার কাছে থাকা ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা ও এটিএম কার্ড নিয়ে নেয়। ঘটনাটি ইউপি সদস্য থানা পুলিশকে জানালে থানার এসআই আলমগীর হাজির হন। অপরদিকে খবর পেয়ে বিজিবি ঘটনাস্থলে আসে। পরে তাদের থানায় নিয়ে আসা হয়। মহেশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘মহেশপুর সীমান্ত দিয়ে পালানোর সময় ঢাকা দক্ষিণ মহানগর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিনসহ তিন দালালকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। রিয়াজের নামে ঢাকার যাত্রাবাড়ী ও ভাটারা থানায় হত্যা ও চাঁদাবাজির দুইটি মামলা রয়েছে।

