১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ  । ৩রা ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ 

ভারতের নিষেধাজ্ঞা : কমেছে বেনাপোলে রেলপথে আমদানি

সুন্দর সাহা
দেশের সর্ববৃহৎ বেনাপোল স্থলবন্দরে রেলপথে আগের বছরের তুলনায় আমদানি কমেছে ২৯ হাজার মেট্রিক টন। ৫ আগস্টের পর বাণিজ্যে একাধিকবার নিষেধাজ্ঞা আর রেলের দুর্বল অবকাঠামোর ফলে এ পরিস্থিতি বলে অভিযোগ ব্যবসায়ীদের। তবে রেল কর্তৃপক্ষ বলছে, অবকাঠামো উন্নয়নে কাজ চলছে।বেনাপোল বন্দর ব্যবহারকারীরা জানান, যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় একমাত্র বেনাপোল বন্দর দিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের সঙ্গে রেল ও সড়কপথে আমদানি-রপ্তানি হয়। তবে ৫ আগস্টের পর ভারত সরকার বাণিজ্যের ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা দেয়। এতে আমদানিকারকরা তাদের অনেক পণ্য সুষ্ঠুভাবে আমদানি করতে পারছেন না। রেলে রপ্তানি পণ্য পরিবহনের নির্দেশ থাকলেও আজ পর্যন্ত চালু করা যায়নি।

রেলস্টেশনে নির্মাণ হয়নি কোনো ইয়ার্ড। নানান প্রতিবন্ধকতায় গত ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ভারত থেকে মাত্র এক হাজার ২৯৬টি ওয়াগানে আমদানি হয়েছে ১২ হাজার মেট্রিক টন পণ্য। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রেলে আমদানি পণ্যের পরিমাণ ছিল ৪১ হাজার মেট্রিক টন। অর্থাৎ আমদানির পরিমাণ কমেছে ২৯ হাজার মেট্রিক টন। বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের ভারত বলেন, রেলের দুর্বল অবকাঠামোয় পণ্য খালাস ব্যাহত হচ্ছে। পণ্য খালাসের জন্য কোনো ইয়ার্ড রেলস্টেশনে নির্মাণ হয়নি। দুই বছর আগে রেলে পণ্য রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) থেকে। কিন্তু আজ পর্যন্ত বাস্তবায়ন নেই। রেলে রপ্তানি বাণিজ্য চালু করতে পারলে পণ্য পরিবহনে খরচ আরও সাশ্রয়ী হবে। বর্তমানে বাণিজ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞার কারণে ভারত থেকে সুতা, গুঁড়াদুধ, প্রিন্ট পেপার, পেপার বোর্ড, মাছ ও তামাক আমদানি এবং পাট ও পাটজাত পণ্য, তৈরি পোশাক, প্লাস্টিক, কাটের তৈরি আসবাবপত্র ও ফল রপ্তানি বন্ধ রয়েছে বলে জানান বেনাপোল আমদানি-রপ্তানি সমিতির সহ-সভাপতি আমিনুল হক।বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মো. সাইদুজ্জামান বলেন, ভারতের নিষেধাজ্ঞায় বাণিজ্য কমে এসেছে। তবে দ্রুত পণ্য খালাসের জন্য রেলস্টেশনে কার্গো ইয়ার্ড নির্মাণে সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে। ট্রেনে রপ্তানির বিষয়টি দুই দেশের উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা চলছে বলেও জানান তিনি।

আরো দেখুন

Advertisment

জনপ্রিয়