১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ  । ৩রা ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ 

যশোরে যৌতুক না পেয়ে স্ত্রী-সন্তানকে ফেলে অন্যের স্ত্রী নিয়ে পালালেন সবুজ!

শামিম হোসেন, কুয়াদা
যশোর সদর উপজেলার বানিয়ারগাতি গ্রামের সবুজ হোসেন যৌতুক না পেয়ে স্ত্রী ও শিশু সন্তানকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয়, স্থানীয় এক প্রবাসীর স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে তিনি পালিয়ে গেছেন বলেও জানা গেছে। ভুক্তভোগী স্ত্রী, হাটবিলা গ্রামের মীম, এখন দুই বছরের শিশু সন্তানকে নিয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন ন্যায়ের আশায়। স্থানীয় প্রভাবশালীদের দ্বারস্থ হলেও কোনো সুরাহা না পেয়ে তিনি শেষমেশ যশোর কোতোয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সাড়ে তিন বছর আগে সবুজের সঙ্গে মীমের বিয়ে হয়। বিয়েতে আসবাবপত্রসহ বিভিন্ন উপহারও দেন মীমের পরিবার। বিয়ের কিছুদিন পর তাদের সংসারে জন্ম নেয় এক পুত্রসন্তান। কিন্তু পরে সবুজ পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন এবং মীমের পরিবারের কাছে তিন লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। যৌতুক না পেয়ে মীমের ওপর একাধিকবার শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালান সবুজ। সর্বশেষ ৪ আগস্ট সবুজ ফের যৌতুক দাবি করলে মীম তাতে রাজি না হওয়ায় তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করেন। অভিযোগে বলা হয়, এ ঘটনায় সবুজের মা তহমিনা বেগমও সহযোগিতা করেন। তবে প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় প্রাণে বেঁচে যান মীম। পরে সবুজ জানিয়ে দেন, যৌতুক না পেলে তিনি আর সংসার করবেন না। এরপর স্ত্রী ও সন্তানকে বাড়ি থেকে বের করে দেন। মীম জানান, তাকে বের করে দেওয়ার পর সবুজ মণিরামপুর উপজেলার মম্বিমনগর ইউনিয়নের পার খাজুরা গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী আল আমিনের স্ত্রী ইরানীকে বাড়িতে তুলে নেন। এরপর থেকে তিনি স্ত্রী ও সন্তানের কোনো খোঁজখবরও নেননি। এ বিষয়ে মীম বলেন, ‘আমি সন্তানসহ পথে বসেছি। ফোন করলে সবুজ উল্টো আমাকে আত্মহত্যা করার পরামর্শ দেয়। সন্তানকে কোনো খরচও দেয় না। বর্তমানে বিভিন্নভাবে আমাকে ও আমার সন্তানকে ক্ষতি করার চেষ্টা চলছে।’ অন্যদিকে, প্রবাসী আল আমিন অভিযোগ করে বলেন, ‘আমি মালয়েশিয়া থেকে স্ত্রীর কাছে নিয়মিত টাকা পাঠাতাম। কিছুদিন পর সে খারাপ আচরণ শুরু করে। এরপর একসময় ৫০ হাজার টাকা নিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। পরে জানতে পারি, সে সবুজের সঙ্গে চম্পট দিয়েছে।’ আল আমিন এ ঘটনায় ইরানী ও সবুজের বিরুদ্ধে আইনানুগ শাস্তির দাবি জানান। এ বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তা নরেন্দ্রপুর ফাড়ির এসআই কবির হাসান বলেন,শুক্রবার অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। তবে সবুজের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করেও তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি, তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

আরো দেখুন

Advertisment

জনপ্রিয়