১৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ  । ১লা ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ 

দাকোপে দুই দিনেও বাঁধ মেরামত হয়নি : দুর্ভোগে হাজারও মানুষ

খুলনা প্রতিনিধি
খুলনার দাকোপ উপজেলার তিলডাঙ্গা ইউনিয়নের বটবুনিয়া এলাকায় ভেঙে যাওয়া বেড়িবাঁধ দু’দিন পার হলেও এখনো আটকানো সম্ভব হয়নি। ফলে প্লাবিত এলাকায় তীব্র খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে। গত মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকী নদীর পানির তোড়ে প্রায় ২০০ ফুট এলাকা জুড়ে বাঁধটি ভেঙে যায়। এতে তিলডাঙ্গা ইউনিয়নের উত্তর কামিনীবাসিয়া, বটবুনিয়া, নিশানখালী, আড়াখালী, দক্ষিণ কামিনীবাসিয়া, ভাদলা বুনিয়া, মশামারী, গড়খালী ও কাকড়া বুনিয়া এলাকা প্লাবিত হয়। অব্যাহত জোয়ার-ভাটায় এসব এলাকার মানুষ অবর্ণনীয় দুর্ভোগে দিন কাটাচ্ছেন। কেউ আশ্রয় নিয়েছেন খোলা আকাশের নিচে, কেউবা নিজ ঘরে পানিবন্দি হয়ে আছেন। এ ঘটনায় প্রায় ৩ হাজার বিঘা জমির আমন ধান, শত শত মাছের ঘের ও পুকুর এবং সবজির খেত পানির নিচে তলিয়ে গেছে। ক্ষতির পরিমাণ শত কোটি টাকায় দাঁড়াতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বাঁধ আটকানোর অন্তত তিন দফা চেষ্টা চালালেও তীব্র স্রোত ও মাটির স্বল্পতার কারণে ব্যর্থ হয়। বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) সকালে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন খুলনার জেলা প্রশাসক মো. তৌফিকুর রহমান। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে শুকনো খাবার, চাউল, ডাল, তেল, লবণ, মসলা ইত্যাদি ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেন। জেলা প্রশাসক বলেন, খুব দ্রুত বাঁধ মেরামতের জন্য সব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা প্রণয়ন করে সরকারি সহায়তা দেওয়া হবে। খুলনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল আলম বলেন, স্রোতের তীব্রতা ও মাটির ঘাটতির কারণে বাঁধ আটকাতে বেগ পেতে হচ্ছে। তবে বৃহস্পতিবার রাতের মধ্যেই বাঁধ আটকানো সম্ভব হবে বলে আশা করছি। উপজেলা প্রশাসন ইতোমধ্যে ১৬০ পরিবারের মাঝে শুকনো খাবার ও ১২০ পরিবারের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেছে বলে জানা গেছে।

আরো দেখুন

Advertisment

জনপ্রিয়