২২শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ  । ৭ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ 

কোটচাঁদপুর কনকনে শীতে বোরো ধানের চারা রোপনে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষক

মঈন উদ্দিন খান, কোটচাঁদপুর
শৈত্য প্রবাহের মৃদু বাতাস আর কনকনে শীতে মানুষ যখন জড়োসড়ো। ঠিক সে সময় বোরো ধানের চারা রোপনে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষীরা। এ চিত্র কোটচাঁদপুর উপজেলার তালসার-কুশনার বিভিন্ন মাঠে দেখা যাচ্ছে। সব কিছু ঠিক থাকলে এ বছরও লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে বলে জানিয়েছেন কৃষি কর্মকর্তা। জানা যায়, কোটচাঁদপুর উপজেলায় ৫ টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা। এ উপজেলার প্রধান ফসল ধান। বেশ কয়েক দিন ধরে শুরু হয়েছে এ বছর বোরো ধান রোপন কার্যক্রম। তবে থমকে যাচ্ছে শৈত্য প্রবাহের মৃদু বাতাস,আর কনকনে শীত। এতে করে জগোসড়ো হয়ে যাচ্ছে মানুষ। এরপরও প্রকৃতির এমন আচারনকে উপেক্ষা করে,কোটচাঁদপুর উপজেলায় সর্বত্র চলছে বোরো ধান রোপনের কাজ। শুক্রবার সকালে কোটচাঁদপুরের তালসার কুশনা মাঠে দেখা যায় বোরা ধান রোপনের এমন দৃশ্য। এ প্রসঙ্গে ধানের জমিত কাজ করা লেবার লিটন হোসেন,সুলতান হোসেন,আশাদুল ইসলাম বলেন, আমরা তাহাজ্জেল হোসেনের নেতৃত্বে কাজ করি। আজ এখানে ১৭ জন লেবার কাজ করছি। তারা বলেন,আমরাও তো মানুষ। আমাদের ও শীত লাগে। শীতে জড়োসড়ো হই। তারপরও কাজ তো করতে হবে। লেবারা বলেন,কাক ডাকা ভোরে আসি। এরপর জমি থেকে চারা উঠিয়ে, তা জমিতে রোপন করে থাকি। আজ আমরা ৮ বিঘা জমিতে চারা রোপন করেছি। যাতে করে এক জনের ৭/৮ শ টাকা করে আয় হবে। সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়, এ উপজেলায় চাষিরা চাষ করে থাকেন,হান্ড্রেড,বিরি-৫০, বিনা ২৫ জাতের ধান। এ বছর যোগ হয়েছে ধানের নতুন জাত হান্ড্রেড বঙ্গবন্ধু জাতের ধান। গেল বছর এ উপজেলায় ৬ হাজার ১ শ ৫০ হেক্টর জমিতে ধান হয়েছিল। এ বছর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬ হাজার ১ শ ৮৯ হেক্টর জমি। যা গেল বছরের তুলনায় ৩৯ হেক্টর জমি বেশি চাষ হবে। সব কিছু ঠিক থাকলে এ লক্ষ্যমাত্রা পূরনের আশা প্রকাশ করেছেন,কোটচাঁদপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাজিবুল হাসান। তিনি বলেন,এ বছরও চাষিদের মধ্যে কৃষি প্রনোদনা হিসেবে স্যার ও বীজ দেয়া হয়েছে। যার মধ্যে ছিল ৫ কেজি করে হাইব্রিড ধানের বীজ ও ২০ কেজি সার। এ সব দেয়া হয় ৬ শ চাষির মধ্যে। আর ১৮ শ চাষির মধ্যে দেয়া হয়,৫ কেজি উফশি ধানের বীজ ও সম পরিমাণ সার। এ বছর বোরো ধানের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬ হাজার ১ শ ৮৯ হেক্টর জমি। যা গেল বছরের তুলনায় ৩৯ হেক্টর বেশি। স্যারের দাম ও সরবরাহ নিয়ে প্রশ্ন তুললে, তিনি বলেন,স্যারের কোন ঘাটতি নাই। চাষিরা তাদের চাহিদা মোতাবেক সার পাবেন। আর দাম নিয়ে কোন অভিযোগ জানা নাই। তবে যদি কেউ লিখিত অভিযোগ করেন, তাহলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আরো দেখুন

Advertisment

জনপ্রিয়