প্রতিদিনের ডেস্ক
দিনাজপুরে আজও দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। রোববার (১৪ জানুয়ারি) সকালে রেকর্ড হয় ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। চলতি বছরে এটি জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।এর আগে শনিবারও (১৩ জানুয়ারি) দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় এ জেলায়।
ছয় দিন ধরে দিনাজপুরে রাভভর বৃষ্টির মতো ঝরছে কুয়াশা। সূর্যের দেখা মিলছে না বিকেল পর্যন্ত। দিনভর কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকছে সড়ক ও মাঠঘাট। সেই সঙ্গে বইছে কনকনে ঠান্ডা হাওয়া। চলমান শৈত্যপ্রবাহে সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় কাঁপছে মানুষ।
দিনাজপুর আবহওয়া অফিসের তথ্যমতে, রোববার সকালে বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯০ ভাগ। জেলার ওপর দিয়ে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। চলতি সপ্তাহে জেলায় স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভবনাও আছে।
এদিকে প্রচন্ড শীতে কাবু হয়ে পড়েছে জনজীবন। কুয়াশার কারণে অনেক বেলা পর্যন্ত হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে দূরপাল্লার যানবাহন। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না সাধারণ মানুষ। শীতের সকালে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন ছিন্নমূল আর গ্রামীণ মানুষ। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন খেটে খাওয়া শ্রমজীবীরা।
সদর উপজেলার ৫ নম্বর শশরা ইউনিয়নের বালুপাড়া গ্রামের আবুজার হোসেন জানান, প্রচন্ড শীতের কারণে বীজতলায় চারা প্রস্তুত হলেও বোরো চাষ শুরু করতে পারেননি। কারণ প্রচন্ড ঠান্ডায় মাঠে কাজ পারছেননা। তাই জেলায় বোরো চাষ দেরিতে শুরু হবে।
শহরের মিস্ত্রিপাড়া মহল্লার আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, প্রায় সপ্তাহখানেক ধরে শীতের প্রকোপটা বেশি। প্রচন্ড ঠান্ডায় কাজ করতে খুব সমস্যা হচ্ছে। শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। যারা পেটের দায়ে কাজে আসছেন তারাও শীতের মধ্যে টিকতে পারছেননা।
আজও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা দিনাজপুরে, বৃষ্টিতে কমতে পারে আরও
ভ্যানচালক তসর আলী ও জয়নাল আবেদিন জানান, গত কয়েকদিন ধরে রোদ ওঠে না। ঠান্ডার কারণে রাস্তায় মানুষের চলাচল কমে গেছে। বাড়িতে বসে থাকলে পেটে খাবার জুটবে না। তাই প্রচন্ড শীতের মধ্যেও ভ্যান নিয়ে রাস্তায় বেরিয়েছেন বাধ্য হয়ে। কিন্তু সকাল ১১টা পর্যন্ত কোনো ভাড়া নেই।
দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, বর্তমানে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে। দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে এ জেলায়। শনিবার ও রোববার টানা দুই দিন ধরে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্র দিনাজপুরে। আকাশের উপরিভাগে ঘন কুয়াশা থাকায় সূর্যের তাপ ভূপৃষ্ঠে পুরোপুরি আসছে না। এজন্য বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে। চলতি সপ্তাহের শেষে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। বৃষ্টি হলে তাপমাত্রা আরও কমে যেতে পারে। বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় এক দশমিক ৮৫ কিলোমিটার প্রবাহিত হচ্ছে।