প্রতিদিনের ডেস্ক
প্রতিনিয়ত স্বাস্থ্য খাতে কিডনি রোগের ভয়াবহতা ক্রমাগত বেড়েই চলছে। কিডনি রোগ প্রতিরোধের জন্য তিনটি স্তরে কিডনি রোগ না হওয়ার জন্য কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। প্রথম স্তরে প্রাথমিকভাবে কিডনি রোগের ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়গুলোর ওপর নজর দিতে হবে এবং কিডনি ও মূত্রনালি, মূত্রথলি ও প্রস্রাবের রাস্তার কাঠামোগত ত্রুটি চিকিৎসা করা এবং সর্বোপরি কিডনি ক্ষতিকারক কোনো ওষুধ ও পরিবেশের কোনো রাসায়নিক পদার্থ থেকে বিরত থাকতে হবে। দ্বিতীয় স্তর অর্থাৎ কিডনি রোগের প্রধান দুটি কারণ- ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে। তৃতীয় স্তর অর্থাৎ যারা ধীরগতির কিডনি রোগের চিকিৎসায় আছেন এবং শতকরা ৬০ থেকে ৭০% কিডনি কাজ করছে না, তাদের ক্ষেত্রে কিডনি অকেজো রোগের জটিলতা বিশেষ করে হৃৎপিন্ড ও মস্তিষ্কের জটিলতা থেকে প্রতিকারের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এ ব্যবস্থার ফলে এসব রোগীর ডায়ালাইসিস ও কিডনি সংযোজনের সময় বিলম্ব হয়। এ পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য স্থানীয় সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও রাজনৈতিক সদিচ্ছার গুরুত্ব অত্যধিক। পরিসংখ্যানে দেখা যায় বিশ্বের প্রায় ৮৫ কোটি মানুষ কোনো না কোনো কিডনি রোগে আক্রান্ত। এর মধ্যে ধীরগতিতে কিডনি অকেজো রোগীরা কোনোদিন কিডনি কার্যক্ষমতা ফিরে পায় না বরং ধীরে ধীরে সময়ের ব্যবধানে কার্যক্ষমতা হ্রাস পায় এবং এক পর্যায়ে ডায়ালাইসিস ও কিডনি সংযোজন স্তরে পৌঁছায়। তখন ওষুধের মাধ্যমে রোগীকে বাঁচানো যায় না। কিডনি রোগ প্রতিরোধযোগ্য যদি সঠিক সময়ে কিডনি রোগের শনাক্ত করা ও চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হয়। এই ক্ষেত্রে ওষুধের সঙ্গে জীবনযাত্রার অভ্যাস ও খাদ্যের পুষ্টির দিকে নজর দিতে হবে। তাই কিডনি রোগ নিয়ে অবহেলা না করে আমাদের আরো সচেতন ও যত্নবান হতে হবে।