জুনের মধ্যে মূল্যস্ফীতি ৭.৫ শতাংশে নামাতে চায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক

0
32

প্রতিদিনের ডেস্ক
চলতি বছরের জুনের মধ্যে মূল্যস্ফীতি ৭ দশমিক ৫ শতাংশে নামিয়ে আনতে চায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ লক্ষ্যে নতুন মুদ্রানীতিতে নীতি সুদহার ২৫ শতাংশীয় পয়েন্ট বাড়িয়ে ৮ শতাংশ করা হয়েছে।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণার পর সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন গভর্নর। মুদ্রানীতির খসড়া উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. হাবিবুর রহমান।গভর্নর বলেন, সুদহার বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সময়ের প্রয়োজন। এটা নিয়ন্ত্রণে কিছুটা সময় লেগে যায়।
তিনি জানান, চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধের (জুলাই-ডিসেম্বর) মুদ্রানীতিতে নেওয়া মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হলেও, আগের চেয়ে বৃদ্ধি পায়নি।
গভর্নর বলেন, আগের চেয়ে মূল্যস্ফীতি না বাড়লেও গত নভেম্বর থেকে ক্রমাগত কমছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ অগ্রাধিকারে রেখে এবারও মুদ্রানীতি প্রণয়ন হয়েছে। এবারের মুদ্রানীতিতে মূল্যস্ফীতির চাপ প্রশমন, বিনিময় হার চাপ নিয়ন্ত্রণ, সরকারের কাঙ্ক্ষিত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অর্থের সরবরাহ নিশ্চিত এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিকারী খাতে ঋণ সরবরাহকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক এবারের মুদ্রানীতিতে বিশেষ রেপো সুদহারে (স্ট্যান্ডিং লেন্ডিং ফ্যাসিলিটি-এসএলএফ) নীতি সুদহার করিডোরের ঊর্ধ্বসীমা ২৫ বেসিস পয়েন্ট কমিয়ে ৯ দশমিক ৫০ শতাংশ করেছে। বর্তমানে এটি ৯ দশমিক ৭৫ শতাংশ। চার শতাংশের ব্যাংক রেটে কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি।
গভর্নর আব্দুর রউফ বলেন, আসছে জুনের মধ্যে মূল্যস্ফীতি ৭ দশমিক ৫ শতাংশে নামিয়ে আনতে চায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ লক্ষ্যে নতুন মুদ্রানীতিতে নীতি সুদহার ২৫ শতাংশীয় পয়েন্ট বাড়িয়ে ৮ শতাংশ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, নতুন সিদ্ধান্ত মতে নীতি সুদহার ৭ দশমিক ৭৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ৮ শতাংশ করা হচ্ছে। ফলে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে অন্যান্য ব্যাংকগুলো যে টাকা ধার করবে, তার সুদহার বাড়বে। অর্থাৎ বাংলাদেশ ব্যাংক আরও সংকোচনমূলক মুদ্রা সরবরাহের দিকে হাঁটছে।
পাঁচ ইসলামী ব্যাংকের তারল্য সংকট নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে গভর্নর বলেন, ইসলামী ব্যাংকগুলোর কাঠামোগত কারণে তারল্য সংকট হয়েছে। তাদের সুকুক বন্ড রয়েছে টোটাল ইসলামী ব্যাংকের দুই শতাংশ। অন্য ব্যাংকগুলোও তারল্য সংকট ছিল তবে তাদের বন্ডে বিনিয়োগ থাকায় টাকা সরবরাহ করা গেছে।
আর্থিক খাতের দুর্বলতার বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা আগেই দুর্বল ব্যাংকগুলোকে চিহ্নিত করেছিলাম। এটা বলতে পারি দুর্বল ব্যাংকগুলো আর খারাপের দিকে যায়নি। দেশের ৫২ বছরের ইতিহাসে কোনো ব্যাংক বন্ধ হয়নি, হবেও না। তবে ওই দুর্বল ব্যাংকগুলোর দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে সময় লাগে। তারা খারাপের দিকে যায়নি আর দুর্বলতা কাটিয়ে উঠবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি গভর্নর কাজী ছাইদুর রহমান, এ কে এম সাজেদুর রহমান খান, আবু ফরাহ মো. নাছের ও নুরুন নাহার, নির্বাহী পরিচালক খোরশেদ আলম, মুখপাত্র মেজবাউল হক প্রমুখ।