অপারেশনের সময় নবজাতকের পিঠ কেটে ফেললেন চিকিৎসক!

0
20

প্রতিদিনের ডেস্ক
বরগুনার তালতলীতে সিজারিয়ান অপারেশনের সময় নবজাতকের পিঠ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানালে উল্টো ওই চিকিৎসকের তোপের মুখে পড়ে শিশুটির পরিবার। তালতলীর দোয়েল ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এ ঘটনা ঘটেছে।
শিশুটির স্বজনরা জানান, প্রসব বেদনা নিয়ে শনিবার দুপুরে তালতলী উপজেলার বড় বগী ইউনিয়নের তালতলী বাজারের মোহাম্মদ সোহাগের স্ত্রী লিপি আক্তার স্থানীয় দোয়েল ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভর্তি হয়। পরে রাতে লিপি আক্তারের সিজারিয়ান অপারেশন করান ক্লিনিকের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. রানা রহমান।
অপারেশনের একপর্যায়ে নবজাতকের কান্নার শব্দ শুনলেও বের করা হচ্ছিল না অপারেশন কক্ষ থেকে। দীর্ঘ সময় পর নবজাতককে স্বজনদের কাছে দেওয়া হলে তখন তার পিঠ কাটা দেখা যায়। কাটা স্থান থেকে তখনো রক্ত বের হচ্ছিল। অভিযোগ অস্বীকার না করলেও সিজারিয়ান অপারেশনের সময় শিশুর পিঠ কাটার পক্ষে নানা যুক্তি দেন চিকিৎসক রানা রহমান।
শিশুটির বাবা মোহাম্মদ সোহাগ জানান, অপারেশনের পর নবজাতকের কান্নার শব্দ শুনতে পাই আমরা। এর প্রায় এক ঘণ্টা পর শিশুটিকে আমাদের কাছে দেওয়া হয়। এর কিছুক্ষণ পর লিপিকে অপারেশন থিয়েটার থেকে বের করে। তখন তিনি সিজারিয়ান অপারেশনের সময় নবজাতকের পিঠ কেটে ফেলার কথা জানান। তারপর আমরা যাচাই করে এর সত্যতা পাই। তখনো কাটা স্থান থেকে রক্ত পড়ছিল। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানালে চিকিৎসক রানা রহমান আমাদের ওপর চড়াও হন।
এ বিষয়ে চিকিৎসক রানা রহমান সাংবাদিকদের বলেন, আপনি আমার সুবিধা দেখবেন, আমি আপনার সুবিধা দেখব। আমি তো বাচ্চা মেরে ফেলিনি। এটুকু কাটলে কি মানুষ মারা যায়?
এ বিষয়ে বরগুনার তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম খান বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নবজাতকের পরিবার অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।