মিসরকে কাঁদিয়ে কোয়ার্টারে ডিআর কঙ্গো

0
14

প্রতিদিনের ডেস্ক
আফ্রিকান নেশন্স কাপের নকআউট পর্ব থেকে বিদায় নিয়েছে মোহাম্মদ সালাহর মিশর। নির্ধারিত সময়ে ১-১ সমতায় শেষ হওয়ার পর ট্রাইবেকারে ৮-৭ ব্যবধানে হেরেছে বর্তমান রানার্সআপরা। এরই সঙ্গে প্রতিযোগিতার রেকর্ড সপ্তম চ্যাম্পিয়ন মিসরকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে ডিআর কঙ্গো।
মিশরের এমন দিনে দলে ছিলেন না তাদের অন্যতম ভরসা মোহাম্মদ সালাহ। গ্রুপপর্বের দ্বিতীয় ম্যাচে চোট পেয়েছিলেন। সেরে ওঠার জন্য ইংল্যান্ডে নিজ ক্লাব লিভারপুলে ফিরে যান তিনি। চোট কাটিয়ে টুর্নামেন্টটির শেষ দিকে মিশর দলে যোগ দেওয়ার কথা ছিল তার। কিন্তু তার আগেই লিভারপুলে বসে নিজ দেশের বিদায় দেখতে হল সালাহকে। এতে দেশের হয়ে আফ্রিকার শীর্ষ টুর্নামেন্ট জয়ের স্বপ্ন অধরাই থাকল সালাহ।
প্রতিযোগিতার শেষ ষোলোর লড়াইয়ে ম্যাচের ৩৭ মিনিটে পিছিয়ে পড়ে মিসর। টুর্নামেন্টে চমক দেখানো ডিআর কঙ্গোকে ১-০ গোলে এগিয়ে দেন স্ট্রাইকার এলিয়া। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে সমতায় ফিরে আসে বর্তমান রানার্সআপরা। মোস্তফা মোহাম্মেদ ডিআর কঙ্গোর জালে বল জড়ান।
দ্বিতীয়ার্ধে কোনো দলই কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পায়নি। এমনকি ম্যাচ অতিরিক্ত সময়ে গড়ালেও গোল করতে ব্যর্থ হয় মিসর ও ডিআর কঙ্গো। ১২০ মিনিটের খেলা শেষেও ১-১ সমতা থাকায় ম্যাচ গড়ায় পেনাল্টি শুট আউটে।
পেনাল্টিতে দুইদলই নিজেদের দ্বিতীয় কিক থেকে গোল করতে ব্যর্থ হয়। পরের তিনটি শট থেকে গোল পায় মিসর ও ডিআর কঙ্গো। প্রথম পাঁচ পেনাল্টি শেষে স্কোর দাঁড়ায় ৪-৪। ষষ্ঠ ও সপ্তম স্পটকিককে জালে জড়ালেও অষ্টম পেনাল্টি ক্রসবারের ওপর দিয়ে মারেন মিসরের গোলকিপার মোহামেদ আবুও গাবেল। কিন্তু অষ্টম পেনাল্টি কিক থেকে গোল করতে ভুল করেননি ডিআর কঙ্গোর কিপার লিওনেল এমপাসি এনজাও। সেই সঙ্গে ৭-৮ ব্যবধানে হেরে আফকন থেকে বিদায় নিয়েছে মোহাম্মদ সালাহর মিসর।
পিএসজির বয়সভিত্তিক দল থেকে উঠে আসা কঙ্গোর গোলকিপার লিওনেল এমপাসি এনজাও ফরাসি ফুটবলে দ্বিতীয় স্তরের দল রোদেজে খেলেন। ম্যাচ শেষে ক্যানাল প্লাস আফ্রিকাকে তিনি বলেছেন, ‘গাবেল যখন শট নিতে এল, আমরা একে-অপরের চোখে তাকাই এবং তাকে দেখে নার্ভাস লাগছিল।’
এমপাসি নিজের শট নেওয়ার আগে মুচকি হেসেছেন। হয়তো চাপ কাটিয়ে উঠতে মাথা ঠান্ডা রাখার চেষ্টা করছিলেন। জয়ের পর সেটাই বললেন, ‘বলটা জায়গামতো বসিয়ে মাথা ঠান্ডা রেখেছি। অনুশীলনে শেষ পেনাল্টিটি নেওয়ার কথা ভেবেছি এবং সৌভাগ্যবশত লক্ষ্যভেদ করতে পেরেছি।’